সর্বশেষ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস
রাকসুর চূড়ান্ত বিধিমালা হয়নি, জুনে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, ভোগান্তি যাত্রীদের
নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান
৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ডাক
সিইসির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি
ক্যাস্ট্রলের আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর রক এনার্জি
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, প্রশাসন আসলেই কার পক্ষে?
৮ মাস পর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল  
সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
১০ বছরের গবেষণায় ভাতেও পাওয়া গেছে আর্সেনিক, বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বিএনপি
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা

কুরআন শরীফ ধরে কোনো কিছু বললে সেটা কি ওয়াদা হয়?

অনলাইন ডেস্ক

প্রশ্ন: কুরআন শরীফ ধরে কোনো কিছু বললে সেটা কি ওয়াদা হয়ে যায়? আর যদি বলার সময় এমনি হাতে ছিল,কুরআন শরীফ ধরে ওয়াদা করা উদ্দেশ্য ছিল না,তাহলে তা কি মানা বাধ্যতামূলক?

উত্তর: যেকোনো ধরনের ওয়াদা-অঙ্গীকার-শপথ বা চুক্তি পূরণ করা ওয়াজিব এবং এটা ইমানের পরিপূর্ণতার জন্য একটি অপরিহার্য শর্ত।ওয়াদা ভঙ্গ করা বা চুক্তিবিরোধী কাজ করা ইমানের পরিপন্থী, যাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) মুনাফেকির আলামত বলে আখ্যায়িত করেছেন।

আর কুরআন শরীফ ধরে কোনো কিছু বললে প্রচলনে সেটাকে কেবল ওয়াদা নয়; বরং শপথ হিসাবেই বিবেচনা করা হয়। সুতরাং যদি তা বৈধ বিষয়ে হয় তাহলে পূরণ করা বাধ্যতামূলক হবে।

কোনো কারণে পূরণ না করে ভঙ্গ করলে কাফফারা ওয়াজিব হবে।কিন্তু যদি বলার সময় এমনি হাতে থাকে,কুরআন শরীফ ধরে ওয়াদা করা উদ্দেশ্য না থাকে,তাহলে তা ওয়াদা হবে কিনা—তা নিভর্র করবে বক্তার কথার ওপর।

অর্থাৎ যদি তার কথা ওয়াদাসূচক হয় তাহলে মানা বাধ্যতামূলক হবে। পক্ষান্তরে যদি তার কথা কোনো ইচ্ছা বা আকাঙ্খা ব্যক্তকরণের উদ্দেশ্যে হয় তাহলে মানা বাধ্যতামূলক হবেনা।

উল্লেখ্য, কসম একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলার নাম ব্যতীত অন্য কোনো জিনিসের কসম করা নাজায়েয। এমনকি কুরআন শরীফের কসম করাও জায়েজ নয়।

হযরত সাহাম ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন শরীফের কোন একটি সূরার কসম করবে সে ঐ সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে।(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস ১২৩৬০)

তবে নাজায়েহ হলেও কুরআন মজীদের কসম করলে কসম সংঘটিত হয়ে যায়।আর কসমের কাফফারা হল, দশ জন মিসকীনকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দেওয়া। আর তা সম্ভব না হলে এক নাগাড়ে তিন দিন রোজা রাখা।(বাদায়েউস সানায়ে ৩/৬৩; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫৩)

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ