ক্যাপসিকামে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ‘সি’ আছে। এটি মাছ, মাংস বা যেকোনো সবজির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। ক্যাপসিকাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, বুকের জ্বালাপোড়া দূর হয়। ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে এটি কার্যকরী। এই সবজিটি দেহের ক্ষতিকর কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। একইসঙ্গে বাড়িয়ে দেয় কাজ করার শক্তি। ক্যাপসিকামে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। স্থূলতা প্রতিরোধ করতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্যাপসিকাম দিয়ে তৈরি সালাদ রুচি বৃদ্ধি করে। দেহের শিরা উপশিরা ও স্নায়ুগুলোতে পুষ্টি যোগায় এ সবজি। মাংসপেশীর ব্যথা, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে ক্যাপসিকাম।
এত উপকারী এ সবজিটি লাল, হলুদ, সবুজ ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। বেশি উপকার পেতে কোন রঙের ক্যাপসিকাম খাওয়া উচিত জানেন?
পুষ্টিবিদরা মনে করেন লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে লালটি বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। কেননা এতে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। লাল ক্যাপসিকাম খেলে ত্বক ভালো থাকে, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। লাল ক্যাপসিকামে কোলেস্টেরল কম থাকায়, এটি খেলে মোটা হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
ত্বকের ব্রণ ও র্যা শের হাত থেকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে লাল ক্যাপসিকাম। এটি যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এবং মাথার তালুর রক্ত চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতেও এর ভূমিকা অনেক। লাল ক্যাপসিকামে পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের জন্য এটি উপকারী।
সবুজ ক্যাপসিকাম একটু অল্পবয়সীদের জন্য উপকারী। সবুজ ক্যাপসিকামেও বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণ রয়েছে। এতে থাকা ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানের সংযুক্ত হওয়াতে বাধা দেয়। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদির ব্যথা দূর করতে কাজ করে এটি। সবুজ ক্যাপসিকাম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে চর্বি জমে না, একই সঙ্গে ওজনও বৃদ্ধি পায় না।