সর্বশেষ
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কমছে না দুর্ভোগ
ঈদে ঢাকায় এনসিপির জনবান্ধব কর্মসূচি ঘোষণা
১৭ বছর পর গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবেন বাবর
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর ঈদ উদযাপন করবেন কুলাউড়ায়
লন্ডনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারেক রহমানের ঈদের নামাজ আদায়
ওয়াজিব হওয়ার পরও কুরবানি করতে না পারলে কী উপায়?
বৃষ্টির মধ্যে ডেট করতেন, দীপিকাকে নিয়ে আরও যা বললেন সাবেক প্রেমিক
ডুবোচরে লঞ্চের ধাক্কা, নদীতে ছিটকে পড়লেন যাত্রীরা
লাল মাংস খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
চারদিকে ফ্যাসিস্টদের বৈচিত্রময় বিন্যাস দেখা যাচ্ছে: রিজভী
বলিউডের কেউ রাম হওয়ার যোগ্যতা রাখে না: বিজেপি এমপি
‘ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমি ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট’
প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, বৃষ্টি হলে প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররমে
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
ঈদে বানিয়ে নিন ভিন্ন স্বাদের সেমাইয়ের রাবরি কাটরি

একের ভেতর দুই: পুষ্টিগুণে ভরপুর এক মজার ফল

অনলাইন ডেস্ক

স্বাদে আর সৌরভে দুই ফলের মিশেল। অদ্ভুত ও বিচিত্র এক ফল। পুষ্টিগুণে ভরপুরও। আমাদের দেশের পেয়ারার মতো অতটা টসটসে ও রসালো না হলেও দেখতে অনেকটা পেয়ারার মতো। পাকা ফলের স্বাদ ও ঘ্রাণ অনেকটা পেয়ারা আর আনারসের বিস্ময়কর সংমিশ্রণ। এ কারণেই অনেকে পেয়ারা ও আনারস—দুটি জনপ্রিয় ফলের নাম একত্র করে এই ফলের নামকরণ করেছেন ‘পেয়ারা-আনারস’। অনেকে আবার ‘ব্রাজিলের পেয়ারা’ বলতেই বেশি পছন্দ করেন। নাম ও পরিচয় নিয়ে যাতে বিভ্রান্তি না হয়, সে জন্য উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা মির্তাসি পরিবারের এই উদ্ভিদের নাম দিয়েছেন ফেইজোয়া সেলোয়ানা। উদ্ভিদটির আদিনিবাস দক্ষিণ ব্রাজিল, উত্তর আর্জেন্টিনা, পশ্চিম প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে। সেসব দেশের বনবাদাড়ে এই পেয়ারাগাছের দেখা মেলে। এখন ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াতেও এ উদ্ভিদের দেখা পাওয়া যায়। জনপ্রিয়তার জন্য অনেক দেশেই বাণিজ্যিকভাবে এটি চাষ করা হয়ে থাকে।

উদ্ভিদটি ঠান্ডা, খরা ও উষ্ণতা সহ্য করতে পারে। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ায় এবং আর্দ্র মাটিতে ডালপালা ছড়িয়ে দেয়। সর্বোচ্চ উচ্চতা ১৫ ফুট বা ৫ মিটার হয়ে থাকে এবং প্রায় ১০০ বছর বেঁচে থাকতে পারে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে ফ্রান্সে এর বেশ কয়েকটি প্রকরণের চাষ হয়ে থাকে। তবে বাণিজ্যিক চাষের প্রসার এখনো ঘটেনি।

ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’র চমৎকার উৎস পেয়ারা-আনারস অনেকটা ডিমের আকার-আকৃতির মতো। এর ওজন ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। জ্যাম, জেলি তৈরি করতেও এই ফলের অনেক কদর।শুধুই কী ফল! ফলের আগে ফুল। অদ্ভুত সুন্দর উজ্জ্বল রং আর পাপড়ির বিন্যাস।

জুনে এর ফুল ফুটতে শুরু করে এবং জুলাই পর্যন্ত ফুল দেখা যায়। এ সময়ে ভোরবেলা গাছের কাছাকাছি গেলেই দৃষ্টি আটকে যাবে সূর্যের নরম আলোমাখা শিশিরভেজা ফুলে।

বাতাস যখন দোলা দিয়ে যায়, তখন গাছ থেকে ঝরে পড়া নরম, সুগন্ধি পাপড়ি মাটিতে ফুলের উজ্জ্বল চাদর বিছিয়ে দেয়। ফুলের হালকা গোলাপি এবং গোড়ার দিকে লালচে গোলাপি রঙের টসটসে পাপড়ির স্বাদ মিষ্টি।

পেয়ারা-আনারস অনেকটা ডিমের আকার-আকৃতির মতো। এর ওজন ২০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।

রসালো পাপড়িতে রয়েছে ৮ শতাংশ শর্করা। অনেকেই তাই ফুল কুড়িয়ে সালাদে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন এবং কেক বা খাবার সাজাতে এই ফুল বেছে নেন। পাখিরা খুব মজা করে ফুলের মাংসল পাপড়ি খায় এবং পরাগায়নে অংশ নেয়। অক্টোবরের শেষের দিকে ফল পাকতে শুরু করে। তখন আমি একই সঙ্গে পেয়ারা ও আনারসের স্বাদ নিতে এই রসালো মিষ্টি ফলে পাখিদের সঙ্গে ভাগ বসাই। পেয়ারায় আনারসের সুঘ্রাণ! সত্যিই পেয়ারা-আনারস—ফল দুটির নামে একটি মজার ফল।

অনলাইন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ