সর্বশেষ
পারভেজ হত্যায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ঢাবি ছাত্রদলের
‘আমার বাবার কোনো কবর নেই, চার বছর ধরে লাশের খোঁজে আছি’
আল্লামা ইকবাল, মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একসূত্রে গাঁথা
ফ্রান্সিস, যিনি বদলে দিয়েছিলেন ক্যাথলিক চার্চকে
৩৩ বছরে কতজনকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি, জানতে চান হাইকোর্ট
গোপন সামরিক তথ্য শেয়ার, ফের বিতর্কের মুখে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
পোপ ফ্রান্সিস আর নেই
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
যেসব আমলে জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়
বিনা খরচে কর্মী নেবে জাপান, বেতন দুই লাখ টাকা
আসছে বিশেষ বিসিএস, কতজনকে নিয়োগ?
আ. লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে পলাতক সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা
দিনাজপুরে মাহি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে মিছিলের প্রস্তুতিকালে তিন আ.লীগ কর্মীসহ আটক ৭
প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে সুনামগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মণিপুরে সহিংসতা, কারফিউ জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যটির তিনজন মন্ত্রী এবং ছয়জন বিধায়কের বাড়িতে হামলার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবনে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) রয়টার্স এবং এনডিটিভি-র পৃথক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিক্ষুব্ধ জনতা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দরজা ভেঙে জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।

বিক্ষোভ ও সহিংসতা ঠেকাতে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল পূর্ব এবং পশ্চিম জেলাসহ সাতটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাঙ্কপোকপি, এবং চূড়াচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

সহিংসতার মূল কারণ: মণিপুরে উত্তেজনা নতুন নয়। ২০২৩ সালের মে মাসে কুকি এবং মেইতেই উপজাতির মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের জেরে রাজ্যটি অস্থির হয়ে ওঠে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে কুকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ থেকে। ওই সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন এবং অপহৃত হয় আট মাসের এক শিশুসহ ছয়জন।

গত শুক্রবার একটি নদী থেকে নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রী, বিধায়কদের বাড়ি এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হামলার চেষ্টা চালায়।

মণিপুর সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আফস্পা (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) পর্যালোচনা এবং প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত কোটার বিরোধিতা থেকেই এ সংঘাতের সূত্রপাত। দেড় বছর পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সাম্প্রতিক সহিংসতায় রাজ্যের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আবারও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

সরকারের উদ্যোগ এবং কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার দাবি জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ