সর্বশেষ
শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু: দুদক কমিশনার
কাতার আমিরের মায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
ঢাকায় বড় সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
বেনজীরের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করল ইন্টারপোল
‘বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা সদস্য নেবে কাতার’
আগামী বিশ্বকাপেও রোনালদোকে চান ফিগো
সংসার ভাঙার গল্পে রাশেদ সীমান্ত-অহনা
জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের ‘হারানো সোয়েটার’ পাওয়া গেছে
সমকালের দেওয়া উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মুশফিকের পরিবার
চাকরির প্রথম দিনেই কাভার্ড ভ্যানের চাপায় প্রাণ গেল ইমনের
মব জাস্টিস আর অ্যালাউ নয়, অনেক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখা
এক ব্যক্তিকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী চায় বিএনপি
বিয়ে বা বাচ্চা নিলেই মিলবে অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ

সাত বিদ্যুৎকেন্দ্রে তদন্ত চলছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাকে পাশে চায় কমিটি

অনলাইন ডেস্ক

শেখ হাসিনা সরকারের সময় (২০০৯-২০২৪) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে স্বাক্ষরিত বড় চুক্তিগুলোর অনিয়ম তদন্তে আন্তর্জাতিক মানের আইন ও তদন্ত সংস্থাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি এক রেজুলেশনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই সুপারিশ করেছে। কমিটির মতে, বিদ্যুৎ চুক্তিগুলোর বৈধতা পুনর্মূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক সালিশি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্বমানের তদন্ত সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন।

কমিটি জানায়, “আমরা চাই, এই তদন্ত আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সম্পন্ন হোক এবং ভবিষ্যতে সালিশি প্রক্রিয়ায় গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করুক। এ জন্য দ্রুত একটি বা একাধিক শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করছি।”

আরও পড়ুন: হাসিনার বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কেন বিমান পাঠায়নি ভারত

তদন্তাধীন চুক্তি ও বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো:

কমিটি বর্তমানে সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি নিয়ে তদন্ত করছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • আদানি (গোড্ডা) বিআইএফপিসিএল ১২৩৪.৪ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
  • পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র।
  • মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র।
  • আশুগঞ্জ ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র।
  • বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
  • মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র।
  • মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস/এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

কমিটি জানিয়েছে, চুক্তিগুলোর সম্ভাব্য অনিয়ম এবং বৈষম্যমূলক শর্ত যাচাইয়ের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। একইসঙ্গে তারা নিশ্চিত করতে চায়, এই তদন্ত ও পুনর্মূল্যায়ন আন্তর্জাতিক সালিশি আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।

পর্যালোচনা কমিটি এমন প্রমাণ সংগ্রহে কাজ করছে, যা চুক্তিগুলো পুনর্বিবেচনা বা বাতিলের সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ শেখ হাসিনা আমলে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ চুক্তিগুলোর স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ