ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকে অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা চট্টগ্রাম। আর এখানকার পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে মিলবে শামুক-ঝিনুক দিয়ে বানানো বৈচিত্র্যময় সব পণ্য।
চট্টগ্রামবাসী ও চট্টগ্রামে ঘুরতে আসা পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রের নোনা জলে পা ভেজানো কিংবা সৈকতের বালুকাবেলায় হেঁটে বেড়াতে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ এসে হাজির হন এ সমুদ্রসৈকতে। এ ছাড়া সমুদ্রের পাড়ঘেঁষা ছোট ছোট দোকানে ঢুঁ মারতে দেখা যায় পর্যটকদের। এই দোকানগুলোর প্রধান আকর্ষণ শামুক-ঝিনুকের তৈরি বিভিন্ন পণ্য। যার মধ্যে রয়েছে মালা, কানের দুল, হাতের বালা, আয়নাসহ ঘর সাজানোর আরও অনেক কিছু। উপকূলে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা শামুক-ঝিনুক স্থানীয় বাসিন্দারা সংগ্রহ করে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীদের কাছে। এরপর বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় তৈরি হয় শামুক–ঝিনুকের বাহারি পণ্য। সেসব পণ্যই বিক্রি হয় সমুদ্রের পাড়ের দোকানগুলোতে। সেখানকার একজন দোকানি জানান, তাঁদের বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি হয় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত; তবে মৌসুমভেদে বেচাকেনায় তারতম্য হয়।
ঝিনুকের মালার দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকা
মালা ছাড়াও অন্যান্য গয়না পাবেন। হাতের বালা ৩০ থেকে ৫০ টাকা
একটু দরদাম করে কিনতে হয় এই পণ্যগুলো
এমন সব নস্টালজিয়ায় ঘেরা গৃহসজ্জাপণ্য পাবেন এখানে।
বিচিত্র সব শামুক-ঝিনুকে কারো নাম বা পছন্দমতো বার্তা লিখিয়ে নেওয়া যায়
দরজার ঝালর পর্দা
কানের দুল ২০ থেকে ৫০ টাকা
সৈকতজুড়ে এমন সব দোকানে বসে এসব পণ্যের পসরা
বিভিন্ন আকারের আয়নার দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা
শামুকে নাম লিখিয়ে নেওয়ার জন্য দাম পড়বে শামুকভেদে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।
নান্দনিক সব ঘর সাজানোর জিনিস পাবেন এখানে শামুক-ঝিনুকের তৈরি
কড়ি আর শামুক দিয়ে বানানো এটি
সারাদিনই চলে বেচাকেনা
বিভিন্ন রং আর অন্যান্য উপকরণের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে আজকাল
মালাগুলো একদম নজরকাড়া
বৈচিত্র্যের শেষ নেই এই সংগ্রহে
এমন একটা স্টেটমেন্ট নেকপিস হলে দারুণ হয়
সাগরপাড়ে শামু-ঝিনুকের বাহারি সব পণ্য কেনাকাটার মজাই আলাদা।