সর্বশেষ
পালানো ব্যক্তিদের ফেরানোর চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে পাচারের অর্থ ফেরত আনা
অপারেশন সিন্দুরে মোদির ভূমিকা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতের প্রতিমন্ত্রী
প্রযুক্তিনির্ভর মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
সৌদি এলেই হজ কবুল হয় না, মিনায় মামুনুল হক
মা এখনও বুঝতে পারছেন না ছেলে ও নাতিরা আর কখনোই ফিরবে না
‘ভারতের আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্বের দাবি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে’
সংস্কারের নামে হাসিনার মতো উন্নয়নের সবক দিচ্ছে বর্তমান সরকার: শামসুজ্জামান দুদু
যানবাহনের চাপ বাড়ায় যমুনা সেতুতে বাড়ছে দুর্ঘটনা
টেস্ট দলে ফিরছেন এবাদত, দীর্ঘমেয়াদে নেতৃত্ব পাচ্ছেন শান্ত
ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালে ১৭ নির্দেশনা
সোহেল আলমের ‘বড্ড ভালোবাসি’,মডেল হয়েছেন শ্যামল-চমক
মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম
সুখবর নেই চ্যালেঞ্জের পাহাড়
ঘুম থেকে উঠলেই পেট ফাঁপা?
ঈদে জাকারিয়া সৌখিনের নতুন চমক ‘প্রিয় প্রজাপতি’

ভারতের অসমের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি

অনলাইন ডেস্ক

সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে অসমের বন্যা পরিস্থিতির ৷ যদিও এখনও অনেক গ্রামই জলের তলায় রয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত বন্যায় 93 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ 91 জনের মৃত্যুর খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল ৷ গত 24 ঘণ্টায় আরও দু’জন মারা গিয়েছে ৷ এক শিশু-সহ দু’জন মারা গিয়েছেন অসমের বরাক জেলার করিমগঞ্জে ৷

অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-সহ একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় অসমের 21টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ ওই জেলাগুলির বহু গ্রাম তলায় চলে যায় ৷ সেখান থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে ৷

ওই তথ্য অনুযায়ী, এখন 18 জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে ৷ এই জেলাগুলির 1342টি গ্রাম জলের তলায় রয়েছে ৷ এই গ্রামগুলিতে বসবাসকারী প্রায় 5.97 লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৷ প্রায় 30 হাজার মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন ৷ এদিকে দীর্ঘ সময় জল জমে থাকায় বিভিন্ন জলবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে ৷ প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে আক্রান্তদের ৷

ওই তথ্য অনুযায়ী, অসমের ওই 18টি জেলার অধিকাংশ কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে ৷ ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৷ সেই ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা, তা এখনও প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি ৷ আশা করা হচ্ছে, জল নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে ৷

এছাড়া রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বহু রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ৷ প্রশাসন সূত্রে খবর, আপাতত যোগাযোগ রাখা যাবে, এমনভাবে রাস্তা মেরামতি করা হচ্ছে ৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাস্তা সংস্কারের কাজ নতুন করে শুরু করা হবে ৷ দিচাং নাংলামুড়া ঘাটে নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছেন অনেকে ৷ কারণ, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে জুলাই মাসে রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ এছাড়াও কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ কারও কারও আশঙ্কা পরিস্থিতি আরও খারাপ হলেও হতে পারে ৷

এনএফ নিউজ ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ