সর্বশেষ
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা
যে ৫ প্রাণঘাতী রোগের কারণ হাই কোলেস্টেরল
এক লুকের সঙ্গে আরেক লুকের কোনো মিল নেই টালিউড সুইটহার্ট শ্রীজলার
হজম ক্ষমতা বাড়াতে মেনে চলুন কিছু টিপস
গ্রীষ্মে রোদে পোড়া ও নিস্তেজ ত্বককে বিদায় জানাতে মেনে চলুন এই ৭টি হাইড্রেশন হ্যাকস
হাই ট্রাইগ্লিসারাইড : স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
খালি পেটে পেঁপে পাতার রস খেলে মিলবে যেসব উপকার
৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফিংয়ে বিশ্বরেকর্ড
সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত

বোতলজাত সয়াবিনের সংকট বাজারে, কিনতে হচ্ছে বেশি দামে

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর শেওড়াপাড়া বাজারে গতকাল দুপুরে বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে যান হাসিনুর রহমান। ওই বাজারে পাঁচটি মুদিদোকান ঘুরে মাত্র একটি দোকানে দুই লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল পান তিনি। তবে সেটিও কিনতে হয়েছে বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে ১৫ টাকা বেশিতে।

হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমার লাগত এক লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল; কিন্তু কয়েক দোকান ঘুরেও তা পেলাম না। তাই বাধ্য হয়ে দুই লিটারের বোতলই কিনেছি।’

শুধু শেওড়াপাড়া নয়, রাজধানীর অন্যান্য খুচরা বাজারেও বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না বললেই চলে। আর দু-এক দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলোতে গায়ে লেখা দামের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা।

খুচরা বিক্রেতা ও তেলের পাইকারি সরবরাহকারীরা বলছেন, মূলত ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে কম ছাড়ছেন।

আরও পড়ুন: আজকে স্বর্ণের দাম

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের তীব্র সংকট হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতা ধরতে অনেক বিক্রেতা এখন খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করেছেন। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা বিক্রেতা ও তেলের পাইকারি সরবরাহকারীরা বলছেন, মূলত ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে কম ছাড়ছেন।

এ বিষয়ে তেল সরবরাহকারী একাধিক কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে সয়াবিনের এক, দুই ও পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই নেই বললে চলে। পরিবেশকদের কাছে বারবার তাগাদা দিয়েও তেল পাচ্ছেন না তাঁরা। শুধু দু-তিনটি কোম্পানি বোতলজাত সয়াবিন বাজারে ছাড়ছে; যা চাহিদার তুলনায় সামান্য। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৮-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরকার শুল্ক-কর কমালেও আমদানি বাড়েনি; বরং বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি হয়েছে।

তেলের দাম নিয়ে বৈঠক

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সাম্প্রতিক সরবরাহ সংকট শুরু হয় সপ্তাহ তিনেক আগে। এরপর সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক–কর কমায়। এতে প্রতি কেজি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক-কর ১০ থেকে ১১ টাকা কমেছে। কিন্তু সরকার শুল্ক-কর কমালেও আমদানি বাড়েনি; বরং বাজারে বোতলজাত তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। এম অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেল পরিশোধন কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এক সভা করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, আসন্ন রমজান উপলক্ষে যে পরিমাণ সয়াবিন তেল আমদানি হওয়ার কথা (ঋণপত্র খোলা), তা স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সংগতি রেখে দেশের বাজারেও ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা প্রয়োজন।

গতকালের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। শুল্ক কমানোর পরও কেন ভোজ্যতেলের দাম কমছে না, সেটি দ্রুততম সময়ে পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

বর্তমানে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৬০-৭০ টাকা, ধরনভেদে শিম ৬০-১০০ টাকা ও টমেটো ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা ও লাউয়ের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়।

সবজির দাম অনেক কমেছে

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে; এতে কমেছে দাম। বর্তমানে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৬০-৭০ টাকা, ধরনভেদে শিম ৬০-১০০ টাকা ও টমেটো ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা ও লাউয়ের কেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়।

বিক্রেতারা জানান, মৌসুমের নতুন দেশি কাঁচা মরিচ বাজারে এসেছে; তাতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। নতুন আলু আসা শুরু হয়নি। ফলে পণ্যটির দাম এখনো চড়া রয়েছে। প্রতি কেজি পুরোনো আলু ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারত থেকে আমদানি করা নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ