সর্বশেষ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুফিউর
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস
রাকসুর চূড়ান্ত বিধিমালা হয়নি, জুনে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, ভোগান্তি যাত্রীদের
নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান
৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ডাক
সিইসির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি
ক্যাস্ট্রলের আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর রক এনার্জি
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, প্রশাসন আসলেই কার পক্ষে?
৮ মাস পর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল  
সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
১০ বছরের গবেষণায় ভাতেও পাওয়া গেছে আর্সেনিক, বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা

বাচ্চাদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

শিশুরা সহজেই রেগে যেতে পারে। এদের আবেগ ও সংবেদনশীলতা বেশি থাকে। তবে সব শিশুরা এক রকম নয়। কোনো কোনো আবার শিশু সহজেই রেগে যায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় সন্তানের অতিরিক্ত রাগ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় মা-বাবাকে। কড়া শাসন বা বকাবকি করলে আবার দূরত্ব বাড়ছে মা-বাবার সাথে।

এই বিষয়ে ভারতীয় মনোবিদ অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের মত, এখনকার বাবা-মায়েরা সন্তানকে বেশি সময় দিতে পারেন না। তাই তাকে শান্ত রাখতে সব বায়নাই পূরণ করেন। এতে বাচ্চারা বোঝে, সে যা চাইবে তা-ই পাবে। আর যখনই তার ব্যতিক্রম হয়, তখনই রাগ, জেদের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।

এমন অনেক শিশুকেই মা-বাবা নিয়ে আসেন, যারা রেগে গেলে হাত-পা চালাতে শুরু করে। ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এমনকি একা ঘরে নিজেকে বন্দিও করে ফেলে। সেই রাগ কমতেও বহু দিন লেগে যায়। এমন আচরণকে বলা হয় ‘আউটওয়ার্ডলি অ্যাগ্রেসিভ বিহেভিয়ার’। সে ক্ষেত্রে বাবা-মা যদি ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি না সামলান, তা হলে শিশুর আচরণ মারাত্মক পর্যায়েও যেতে পারে।

বাচ্চাদের রাগ সামলাবেন কী উপায়ে?

মনোবিদের পরামর্শ, সন্তান রেগে গেলে অভিভাবকদের মাথা ঠান্ডা রেগে বোঝাতে হবে। সে যতই কান্নাকাটি করুন, মাটিতে বসে বা শুয়ে পড়ুক, তার পরেও বকাবকি না করে এমন ভাবে বোঝাতে হবে, যাতে সন্তান আপনার কথা শুনতে বাধ্য হয়। কখনোই বাচ্চাকে খারাপ কথা বা কটু কথা বলবেন না। এই ধরনের কথা মনে প্রভাব ফেলে।

সন্তান রেগে গেলে কেমন আচরণ করে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। যদি জেদ বেড়ে গেলে মারধোর করা শুরু করে বা তির্যক মন্তব্য করতে থাকে, তা হলে সেখান থেকে সরে আসুন। কিছুক্ষণ একা থাকতে দিন। রাগ কমলে তার সাথে কথা বলুন। রাগের মাথায় সে যদি বাড়ির কোনো জিনিস ভেঙে থাকে বা কাউকে খারাপ কথা বলে বসে, তা হলে আপনি গালমন্দ না করে তাকে ঠিক আর ভুলের পার্থক্যটা বোঝান। মাথা ঠান্ডা হলে সে-ও আপনার বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করবে।

সন্তান রেগে গেলে তার সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটলে কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। শিশু কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন আচরণ বেশি করছে তা লক্ষ্য করুন। আপনার শিশু রেগে যেতে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই শিশুকে সবধান করুন। তার মনোযোগ অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন।

শিশুর সাথে ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। অনিন্দিতার মতে, অনেক পরিবারেই বাচ্চাদের মধ্যে তুলনা টেনে কথা বলা হয়, যা তাদের নরম মনে আঘাত করে। বড়রা অনেক সময়েই বোঝেন না যে, কথায় কথায় তুলনা টানলে বা অযথা প্রতিযোগিতার মধ্যে বাচ্চাদের ঠেলে দিলে তা তাদের আত্মবিশ্বাসকে চুরমার করে দেবে। তখন হয় শিশু নিজেকে গুটিয়ে নেবে, না হলে নিজের খামতিগুলোকে ঢাকতে প্রচণ্ড জেদি ও একগুঁয়ে হয়ে উঠবে। তাই সে দিকে খেয়াল রাখুন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ