বগুড়ার ধুনটে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৪৯তম আঞ্চলিক বিশ্ব ইজতেমা। শনিবার দুপুরে দীর্ঘ মোনাজাতে হাজারও দেশি-বিদেশি মুসল্লির কান্না ও আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় ইজতেমা ময়দান।
ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি মাওলানা শামছুদ্দিন। মোনাজাতের আগে হেদায়েতের বয়ান করেন কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি প্রফেসর আব্দুল হাই।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না অন্তর্বর্তী সরকার: জিমএম কাদের
আয়োজকরা জানান, ঢাকার কাকরাইল মসজিদের তত্ত্বাবধায়নে গত বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে ইজতেমা শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, মরোক্ক ও থাইল্যান্ডসহ আরবের কয়েকটি জামাত এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমায় সমাবেত হন। ইজতেমায় মুসল্লিরা তিন দিন অবস্থান করে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি এবং দেশি-বিদেশি বক্তার হেদায়েতের বয়ান শোনেন।
শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতে নিজেদের গুনাহ মাফ চেয়ে আল্লাহর দরবারে দেশ, জাতি ও মুসল্লিম উম্মাহর শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য আলহাজ হুমায়ন কবির জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে আখেরি মোনাজাত শেষে ৯টি জামাত দীন ও ইসলামের প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা নিরাপদে চলে গেছেন।