সর্বশেষ
পদত্যাগ করে ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন নেতা
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অনশন
বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চলছে: তারেক রহমান
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বৈঠক
সিনিয়র অফিসার পদে লোক নেবে বিকাশ
সরকার না সরালে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
পহেলগাঁওকাণ্ডে হৃদয় ভেঙে গেছে বলিউড তারকাদের
প্রধান উপদেষ্টাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ মির্জা আব্বাসের
একাধিক কাজ নিয়ে মিষ্টি জান্নাতের ব্যস্ততা
পাকিস্তানি টিকটকারের ভিডিও ফাঁস, অনলাইনে তোলপাড়!
সোনার দাম সকালে বাড়ল বিকেলে কমল
‘এক বাক্সে ভোট পাঠাতে’ সমমনা ৫ ইসলামি দলের ঐকমত্য
ভারতে মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একের পর এক আইন বাস্তবায়ন করছে মোদি সরকার: মামুনুল হক
কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, হলও খুলেছে
কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু

৩ মাস পর যে কৌশলে দেশ ছাড়েন কাদের, এখন যেখানে আছেন?

অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তৈরি হওয়া গণজোয়ারে প্রচণ্ড চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ভারতে চলে গেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় প্রথমে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান তারা। অনেকেই দেশ ছাড়েন।

গত ৫ আগস্টের ঠিক পরপরই দেশত্যাগ করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিম ও আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ অনেকে।

কিন্তু তখন বড় জিজ্ঞাসা ছিল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোথায় আছেন। তিনি দেশে না বিদেশে এমন প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক মহলে। সময়ে সময়ে তাকে নিয়ে নানা গুজব আর গুঞ্জন ছড়িয়েছে বাতাসে।

গণমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন তিনি দেশেই ছিলেন। এই সময়ে তিনি নিরাপদেই ছিলেন। দলের সভাপতির মতো তিনিও ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন ওই সময়ে। যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন দলীয় সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকে সাড়া মিলেনি।

সূত্রের দাবি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যে যারপরনাই বিরক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। ‘ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেই আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিল বলেই দলটির নেতারা মনে করছেন।

ওবায়দুল কাদের গত ৮ নভেম্বর মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান।  তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ধান্দা করছিলেন।

সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেছে। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। এক্ষত্রে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি।

এরআগে গত ৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আগ্রাবাদ অ্যাক্সেস রোডের এ আর টাওয়ারে একটি বাড়িতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবস্থান করছেন এমন সন্দেহে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল হুদা বাবুকে (৭০) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ওই সময় নুরুল হুদাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও ১০ নভেম্বর সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের। শেখ হাসিনার পতনের পর লাপাত্তা হয়ে যান ওবায়দুল কাদের। তাকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালালেও পায়নি।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ