অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শোক প্রকাশ করে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
জামায়াত আমির লিখেছেন, হাসান আরিফ সুনাম ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের জন্য এবং বিশেষভাবে বাংলাদেশের আইনাঙ্গনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ তায়ালা তার ওপর রহম করুন, তাকে ক্ষমা করুন এবং মহান আল্লাহ তার প্রিয় জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।
আরও পড়ুন: আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা হলে ‘যমুনা’ অভিমুখে গণপদযাত্রা: ইয়ামিন মোল্লা
ডা. শফিকুর রহমান আরও লিখেছেন, হাসান আরিফের শোকসন্তপ্ত পরিবার, প্রিয়জন এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উত্তম ধৈর্য ধারণের তাওফিক দান করুন।
এদিকে, হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বস্ত্র ও পাট এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ অনেকেই শোক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হাসান আরিফের অভিমত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রেরণার শক্তি: তারেক রহমান
এর আগে, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শুক্রবার বিকেলে হাসান আরিফকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
গত ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছিলেন হাসান আরিফ। পরে তাকে ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হতাহতদের সহায়তায় ব্যর্থ হলে মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না উপদেষ্টাদের: নুর
উল্লেখ্য, হাসান আরিফ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন।