সর্বশেষ
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
যে ফলগুলো খেলে গরমে আপনার চুল ভালো থাকবে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুফিউর
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস
রাকসুর চূড়ান্ত বিধিমালা হয়নি, জুনে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, ভোগান্তি যাত্রীদের
নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান
৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ডাক
সিইসির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি
ক্যাস্ট্রলের আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর রক এনার্জি
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, প্রশাসন আসলেই কার পক্ষে?
৮ মাস পর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল  
সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

সাফা কবীর-তিশা-সুনিধি নায়েক ও টয়াকে নিয়ে ইতরামি হচ্ছে: আব্দুন নূর তুষার

বিনোদন ডেস্ক

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে পাবলিক হিউমিলিয়েশনকে ‘ইতরামি’ বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসক ও উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাফা কবীর, তানজিন তিশা, সুনিধি নায়েক ও টয়া—এদের নিয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে তিনি ‘অসঙ্গত আচরণ’ বলে অভিহিত করেছেন। শুক্রবার নিজের সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে এ নিয়ে খোলামেলা প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।

তুষার তার পোস্টে বলেন, সাফা কবীর, টয়া, সুনিধি নায়েক এবং তানজিন তিশাকে নিয়ে যা শুরু হয়েছে, তা একটা ইতরামি। এই ভণ্ড সমাজে কোনও বড় চিকিৎসক, চ্যানেলের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত ব্যবসায়ী কিংবা চিত্রপরিচালক যদি একই ধরনের মাদকদ্রব্যে আসক্ত হন, তাদের বিষয়ে কেউ কিছু বলে না। কারণ তারা ক্ষমতাবান। কিন্তু সাধারণ তারকাদের সহজ লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে হেয় করা হচ্ছে।

তুষার প্রশ্ন তোলেন, আমি একজনকে চিনি, যিনি কেকের মধ্যে গাঁজা মিশিয়ে ‘হ্যাশ ব্রাউনি’ বানিয়ে সেবন করতেন। অন্যজন দুধে গাঁজা সিদ্ধ করে খেতেন। এমনকি এক বিখ্যাত চিকিৎসক নেতা ‘গাঁজা-ডাল’ একসঙ্গে খেতেন। কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ গবেষণা করে না, সংবাদ প্রকাশ করে না। তাহলে এই তারকাদের ক্ষেত্রে কেন এমন হচ্ছে?

আরও পড়ুন: প্রজ্ঞা নাগরার ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস, অতঃপর…

তিনি আরও যোগ করেন, এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিক সংবাদের মাধ্যমে কারও ব্যক্তিত্বকে ধ্বংস করা একদম অনৈতিক। এটি শুধু মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়, চিকিৎসার দৃষ্টিকোণ থেকেও অপরাধ। আমি মাদকের বিরুদ্ধে ১৮ বছর বয়স থেকে কাজ করছি। তাই জানি, কাউকে অপমানের পরিবর্তে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

তুষার তার বক্তব্যে মাদকবিরোধী কাজের প্রতি সমর্থন জানান। তবে তিনি স্পষ্ট করেন যে, মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করে নয়, বরং সহায়তা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত।

অভিযোগের ভিত্তিতে তারকাদের নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদের পরিবর্তে সঠিক তথ্যে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তুষার। তিনি বলেন, আমাদের উচিত সমাজের সকল ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে অপমান করা নয়, বরং মাদক সমস্যার শিকড় তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ