গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলাকারী সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শুরায়ি নেজাম বা বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। একই সঙ্গে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তারা। এই দুই দাবি না মানলে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাকরাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে জুবায়েরপন্থীরা এ ঘোষনা দেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন উত্তরার জামিয়াতুল মানহাল আল কওমিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কেফায়েতুল্লাহ আজহারী। তিনি বলেন, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ এবং তাবলিগের প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের কোনো কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে, টঙ্গীতে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে, কাকরাইল মারকাজ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠসহ তাবলিগের সকল কার্যক্রম ‘শুরায়ে নিজামের’ অধীনে করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐক্যমত একা একা হতে পারে না: মান্না
গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলায় তাবলিগ জামাতের সাদপন্থীরা জড়িত দাবি করে তাঁদের নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শুরায়ি নেজাম বা বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। পাশাপাশি সেখানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই দুই দাবি পূরণ না হলে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ইজতেমা ময়দানে জোবায়েরপন্থীদের সঙ্গে সাদপন্থীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাদ কান্ধলভির অনুসারী হিসিবে পরিচিত ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েক শ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করেন জোবায়েরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এস এম আলম নামের এক ব্যক্তি। এ মামলায় ১৯ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার মুফতি মুয়াজ বিন নূরকে রাজধানীর খিলক্ষেতের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দলগুলো ভালো কথা বলছে, ক্ষমতায় গেলে বদলে যেতে পারে: বদিউল আলম