দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ব্যাংকগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এসব তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছাড়াও যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে—শেখ রেহানার মেয়ে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিক। চিঠিতে এসব ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘লেনদেন তলবের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালাসংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য বা দলিল, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।’
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ৭ জানুয়ারি তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দিয়েছেন। টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সম্পত্তিতে বাস বা ভোগদখল করছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নগর ও দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীদের মানদণ্ড নির্ণয় বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা বা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫ বিলিয়ন ডলার ঘুষের অভিযোগ রয়েছে টিউলিপের বিরুদ্ধে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান। এর মধ্য দিয়ে টানা সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান ঘটে।
গত ১০ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়। সেই সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়।