সর্বশেষ
১০ বছরে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরেছেন ৭ লাখ বাংলাদেশি
সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন জামায়াতের আমির
ঝলমলে আমেজে দিশা পাটানির যত গ্ল্যাম লুক
পাক অভিনেতার প্রশংসা করে তোপের মুখে বলিউড অভিনেত্রী
দেশে স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন হচ্ছে শিগগিরই
ভারতকে ‘চূড়ান্ত জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রীর
৮ মাসে ২৬ রাজনৈতিক দলের উত্থান, উদ্দেশ্য কী?
ভারতের কাছে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’
অন্য অভিবাসীদের আটকে দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গদের শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে চান ট্রাম্প
নির্মাণ সামগ্রী খোলা স্থানে রাখায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জরিমানা
সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৯৯ পদে চাকরি, ১৮ বছরেই আবেদনের সুযোগ
‌‘মাথায় ক্যামেরা, খুনের পর সেলফি তুলেছিল তারা’
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ক্রিকেটাররা, থাকবেন তামিমও
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আকাশ

গাইবান্ধায় ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা পৌরসভায় যানজট মুক্ত করতে প্রায় ৬ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দুভাগে বিভক্ত করে একদিন পরপর চলাচলের নির্দেশনার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন অটোরিকশা-ভ্যান মালিক ও শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ধর্মঘটের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে বেকায়দায় পড়েছেন পরিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে গাইবান্ধা পৌরসভা এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করছে গাইবান্ধা রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ।

এ সময় তারা গাইবান্ধা পৌরসভায় ইজিবাইক, রিকশা, মিশুক চলাচলে পৌরসভার ‘অবাস্তব ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ অবিলম্বে বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা কর্মবিরতির লিফলেট বিতরণ করেন।

পৌরসভার ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে বা অটোচালক শ্রমিকদের দাবি না মানা হলে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিযারিও দেওয়া হয়।

সরেজমিনে গাইবান্ধা শহর ঘুরে দেখা যায়, জরুরি কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ হেঁটেই চলেছেন গন্তব্যে পৌঁছাতে। বাড়তি ব্যাগ বহনে অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং অনার্স দ্বিতীয়ত বর্ষের পরিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পড়তে হয়েছে। কোনো যানবাহনে না পেয়ে তারা হেঁটেই পরিক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। যে সব আটো বা রিকশা আন্দোলনকারীদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে রিকশা-ভ্যান বের করেছেন তাদের গাড়ির চাকার হাওয়া বের করা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, আমরা শহরে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। এসে দেখি কোনো যানবাহন নাই। এজন্য জরুরি কাজ সারতে হেঁটেই রওনা করেছি।

এর আগে, গাইবান্ধা শহরকে যানজট মুক্ত করতে গাইবান্ধা পৌরসভা এলাকায় সপ্তাহে তিন দিন ব্যাটারি চালিত সবুজ গাড়ি এবং সপ্তাহে তিনদিন হলুদ গাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত দেয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এর পরেই চালকরা পৌরসভার এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি বলে পাঁচদফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হলো, গাইবান্ধা পৌরসভায় ইজিবাইক, রিকশা, মিশুক চলাচলে পৌরসভার অবাস্তব ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিট বি আর টি এ কর্তৃক প্রদান করা ও প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা, গাইবান্ধা শহরের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে বাইপাস সড়ক নির্মাণ কর। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ইজিবাইক স্ট্যান্ড নির্মাণ কর এবং পৌর ফি বার্ষিক ১০০০ টাকা নির্ধারণ করা, গাইবান্ধা পৌরসভার টোকেন ও প্লেট বাণিজ্য, জুলুম হয়রানি বন্ধ কর। পৌরসভায় চলাচলকারী চালকদের স্বল্পমূল্যে রেশন চালু করা এবং প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইকসহ স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন/সার্ভিস রোড নির্মাণ করা।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা অটো-মালিক চালক সমন্বয় সমিতির সহসভাপতি তিতু বলেন, আমরা প্রতিদিনই অটো চালাতে চাই। তিনদিন বন্ধ তিনদিন চালু আমরা পৌরসভার এ সিদ্ধান্ত মানি না।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌরসভার প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন করছে তাদের সংগঠনের একটি অংশ। পৌরসভার নির্দিষ্ট আইন আছে। সেই আইনের গতিতেই পৌরসভা চলবে।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ