সর্বশেষ
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা
যে ৫ প্রাণঘাতী রোগের কারণ হাই কোলেস্টেরল
এক লুকের সঙ্গে আরেক লুকের কোনো মিল নেই টালিউড সুইটহার্ট শ্রীজলার
হজম ক্ষমতা বাড়াতে মেনে চলুন কিছু টিপস
গ্রীষ্মে রোদে পোড়া ও নিস্তেজ ত্বককে বিদায় জানাতে মেনে চলুন এই ৭টি হাইড্রেশন হ্যাকস
হাই ট্রাইগ্লিসারাইড : স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
খালি পেটে পেঁপে পাতার রস খেলে মিলবে যেসব উপকার
৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফিংয়ে বিশ্বরেকর্ড
সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত

কিডনির রোগ প্রতিরোধে যা করা জরুরি

অনলাইন ডেস্ক

মানবদেহে কিডনি একটি ভাইটাল অর্গান। কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের দূষিত রক্ত শোধন করা। এছাড়া কিডনি অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তবে কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে। কিডনির রোগ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘কিডনিতে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে কিডনি বিকল, কিডনিতে পাথর, ইনফেকশন, কিডনি ফেলিওর ইত্যাদি।

‘যদিও প্রাথমিকভাবে কিডনির রোগ শনাক্ত করা হলে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হওয়া সম্ভব সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে। তাই কিডনির সমস্যা ধরা পড়লেই তা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। তার বরং কীভাবে কিডনির রোগ প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকা উচিত।’

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কিডনির রোগ প্রতিরোধে কোন বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি।েএ বিষয়ে ডা. সামান পরামর্শ দেন-

>> শরীরচর্চার বিকল্প নেই। দৈনিক আধা ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১৫ মিনিট জোরে হাঁটলে গড়ে ৩ বছর পর্যন্ত আয়ু বেড়ে যায়।

>> পাশাপাশি ধূমপান বন্ধ করতে হবে। এটি বাদ দিলেও হার্ট অ্যাটাকসহ কিডনি রোগের ঝুঁকি কমবে।

>> ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণেও কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

>> খাওয়ার বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। নিয়মিত ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।

>> লবণ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

>> ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

>> ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যথার ওষুধ খাওয়া যাবে না।

>> বিশুদ্ধ পানি পান করুন। তবে অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠেই অতিরিক্ত পানি খাওয়া উচিত নয়।

দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। যারা বাইরে রোদে কাজ করেন, তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি পানি পান করতে হবে।

>> নারীদের শরীরের নিম্নাঙ্গের যত্ন নিতে হবে ও পরিষ্কার রাখতে হবে। না হলে ইউরিন ইনফেকশনের মাধ্যমেও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

>> যাদের কিডনিতে পাথর আছে, তাদের উচিত ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া।

৮০-৯০ ভাগ রোগীর কিডনিতে জমা পাথর নিয়মিত জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এজন্য দৈনিক আধা ঘণ্টা হাঁটা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।

বিশ্ব কিডনি দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয় দিবসটি। কিডনি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য, জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ