সর্বশেষ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ আজ
গরমে পানিশূন্যতা দূর করবে যেসব ফল
কাঁচা হলুদের কিছু  ঔষধি গুনাগুন ও কেন খাবেন?
অ্যাড্রিনাল ক্রাইসিস দেখা দিলে মৃত্যুও হতে পারে, তাই যেসব বিষয় জেনে রাখা জরুরি
সহজেই যেভাবে সারিয়ে তুলবেন অ্যাকজিমা
লিভার ডিটক্সিফাই কি? যেসব খাবার সুরক্ষা দেয়
শাড়ির লুকে মন মাতাচ্ছেন অথৈ
আইফোনের যেসব মডেলে ব্যবহার করা যাবে না হোয়াটসঅ্যাপ
সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন
বিশ্ববাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
বাসচালকের ঘুমে প্রাণ গেল ১০ জনের, আহত ৩০
‘আমরা প্রস্তুত, পরীক্ষা নিও না’, হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপকে নিয়ে কেন এত বিতর্ক
করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান
গণতন্ত্রে যাওয়ার ওপরে নির্ভর করছে বাংলাদেশের অস্তিত্ব: মির্জা ফখরুল

মহাকাশে কম্পাস কাজ করে কি?

অনলাইন ডেস্ক

কম্পাস গত ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানবজাতিকে পৃথিবীর দূরবর্তী অঞ্চলে নিরাপদে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। পৃথিবীতে কম্পাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। কিন্তু এখন মানুষ মহাকাশের শীতল শূন্যতায় অভিযাত্রা শুরু করেছে। এখন প্রশ্ন হলো,পৃথিবীর বাইরেও কি কম্পাস কাজ করবে? যদিও করে, তাহলে কম্পাসের কাঁটা কোন দিকে নির্দেশ করবে?

মহাকাশে কম্পাস ঠিকই কাজ করবে, কিন্তু সেটা সবসময় পৃথিবীর দিকে পয়েন্ট করবে না। বরং মহাকাশের সেই স্থানে সবচেয়ে শক্তিশালী যে চৌম্বক ক্ষেত্র আছে, তার উত্তর মেরুর দিকে পয়েন্ট করবে।

পৃথিবীতে কম্পাস কাজ করে আমাদের গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর। কম্পাস নিজেও একটি চুম্বক, যার উত্তর মেরু পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরুর দিকে ঘুরে থাকে। এই চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয় পৃথিবীর গলিত ধাতব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ প্রবাহ থেকে, যা ‘জিওডাইনামো’ নামে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন হয়।

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র সূর্যের দিকে প্রায় ৩৭,০০০ কিমি এবং এর বিপরীতে প্রায় ৩৭০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা পরিবেষ্টিত অঞ্চলটিকে ‘ম্যাগনেটোস্ফিয়ার’ বলা হয়।

একজন নভোচারী যদি পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য কম্পাস ব্যবহার করতে চান, তবে তাকে সম্ভবত এই ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের মধ্যে থাকতে হবে। তবে চৌম্বক ক্ষেত্রের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। মূলত, ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের বাইরেও চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাব শনাক্ত করা সম্ভব।

চাঁদের পাথর থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে একসময় চাঁদের একটি চৌম্বক ক্ষেত্র ছিল, তবে এর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্র ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার ফলে এটি হারিয়ে যায়। একইভাবে, অন্যান্য গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্রও সময়ের সাথে বিলুপ্ত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রায় ৩.৯ বিলিয়ন বছর আগে মঙ্গলের চৌম্বক ক্ষেত্র দুর্বল হয়ে পড়ে, যা এর বায়ুমণ্ডল হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

তবুও, চাঁদ বা মঙ্গলের মতো জায়গায় চৌম্বক ক্ষেত্র না থাকলেও, সেখানকার পাথরের মধ্যে পুরনো চৌম্বক ক্ষেত্রের চিহ্ন পাওয়া যায়। এগুলো ‘ক্রাস্টাল ম্যাগনেটিক ফিল্ড’ নামেও পরিচিত।

সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে জুপিটার সবচেয়ে বড় চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। নাসার মতে, জুপিটারের ম্যাগনেটোস্ফিয়ার প্রায় ২১ মিলিয়ন কিমি প্রশস্ত। এটি তৈরি হয় গ্রহের ধাতব হাইড্রোজেন কোর থেকে। নাসার জুনো মহাকাশযান বর্তমানে এই গ্রহ নিয়ে গবেট করছে।

যদি একজন নভোচারী কোনো গ্রহের ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের বাইরে অবস্থান করে, তবে তার কম্পাস সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকে পয়েন্ট করে। সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র ‘হেলিওস্ফিয়ার’ নামে পরিচিত।

আসলে মহাকাশে প্রচলিত কম্পাস ঠিকঠাক কাজ করে না। এজন্য ‘থ্রিডি কম্পাস’ নামে কিছু আধুনিক যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু এগুলিও পৃথিবীর দিকে নয়, বরং নিকটতম চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকে নির্দেশ করবে।

একটি গ্রহের অভ্যন্তরে কী ঘটছে তা বোঝার জন্য চৌম্বক ক্ষেত্র পরিমাপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তো এসবের জন্য তাহলে কী ব্যবহার করা হয়? ম্যাগনেটোমিটার। নাসা এই যন্ত্রের মাধ্যমে প্লাজমা ইন্টারঅ্যাকশন এবং কয়েক বিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া প্রাচীন চৌম্বক ক্ষেত্রের চিহ্ন পরীক্ষা করে।

সূত্র: বিজ্ঞান বার্তা

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ