মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওড়াল কেন্দ্র। নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে এ দিন ওয়াক আউট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, বৈঠকে বক্তব্য শুরু করতেই তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হল। কেন্দ্র জানাল, মুখ্যমন্ত্রীর মাইক অফ করা হয়নি। ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট এবং মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে শোরগোল পড়তেই, কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয়, “মধ্যাহ্নভোজের পর বক্তব্য রাখার কথা ছিল। কিন্তু দিল্লি থেকে ফেরার তাড়া থাকায়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধে বৈঠকের সপ্তম স্পিকার করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।”
কেন্দ্রের তরফে সাফাই দিয়ে আরও জানানো হয়, কোনও বেল বাজানো হয়নি। ঘড়ি দেখিয়ে জানানো হয়েছিল সময় শেষ। মধ্যাহ্নভোজ শেষ হওয়ার পর ফের বলার সুযোগ পেতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াক আউট করেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাজেটে বঞ্চনা নিয়ে অভিযোগ তুলতেই তাঁর মাইক অফ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াক আউট করে তিনি বলেন, “অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অসম, গোয়া, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীকে ১০-১৫ মিনিট বলতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি বক্তব্য শুরু করতেই, ৫ মিনিটের মধ্যে মাইক অফ করে দেওয়া হয়।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার মুখ্য়মন্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন যে বৈঠকের একদম শেষে তাঁকে বলতে দেওয়া হয়। অত্যন্ত কম সময় পান বক্তব্য রাখার। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ বরাবরই উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এবারের অভিযোগও উড়িয়ে দেওয়া হল একইভাবে।