বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন সদ্য শপথ নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার এ আদেশে সই করেন তিনি।
নির্বাহী আদেশে সইয়ের পর ট্রাম্প বলেন, ওহহ, এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এত দিন অন্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ‘অন্যায্য পরিমাণে’ অর্থ প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে একটি বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এটি বলেছে, বিশ্বজুড়ে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ডব্লিউএইচও। এটি রোগের মূল কারণ সনাক্ত করে, শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করে, রোগ মোকাবেলায় সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দায়িত্বশীল অবদান রয়েছে এটির।
বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে ডব্লিউএইচও’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিল। তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ এবং নির্বাহী বোর্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অন্যান্য ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের পাশাপাশি ডব্লিউএইচও’র গঠন ও পরিচালনায় অংশ নিয়েছে। সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ডব্লিউএইচও এবং যুক্তরাষ্ট্র অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এবং বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষকে স্বাস্থ্য হুমকি থেকে রক্ষা করেছে। আমরা সবাই মিলে গুটিবসন্তের অবসান ঘটিয়েছি। আমরা একসঙ্গে পোলিওকে নির্মূলের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছি।
এতে আরও বলা হয়, ডব্লিউএইচও আশা করে, বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ডব্লিউএইচওর মধ্যে অংশীদারিত্ব বজায় থাকবে।