বাঙালির রান্নাঘরে হলুদ থাকবে না, এমন হয় নাকি! ঝালে, ঝোলে, অম্বলে কিছু থাকুক বা না থাকুক, হলুদ থাকতে বাধ্য। তাছাড়া এই মশলা স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণ উপকারী।
সাধারণ সবজি, মাছ, মাংস, ডিম সব রান্নাতেই হলুদ ব্যবহার করা হয়। এমনকি দুধেও হলুদ মিশিয়ে খাওয়া হয়। কিন্তু এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার মেলে।
আদার সঙ্গে হলুদ খেলে দুর্দান্ত উপকার মেলে। কাঁচা আদা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে পেস্ট করে রস বের করে নিন। এই পানীয় শারীরিক প্রদাহ কমায় এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
যে রান্নায় হলুদ ব্যবহার করবেন, তাতে গোলমরিচও মেশান। হলুদ ও গোলমরিচ একসঙ্গে খেলে এটি কারকিউমিন শোষণে সাহায্য করে। তাছাড়া এতে খাবারের স্বাদও বেড়ে যাবে।
দুধে হলুদ ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে। কিন্তু এটা যদি নারকেলের দুধ হয়, তখনও উপকার পাওয়া যায়। নারকেলের দুধে হলুদ মেশালে খাবারের স্বাদ ও উপকারিতা মিলবে।
ফুলকপি রান্না করলে অবশ্যই হলুদ ব্যবহার করবেন। হলুদ, জিরে ও অন্যান্য মশলা দিয়ে কপির তরকারি রান্না করলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যাবে। তার সঙ্গে পুষ্টিকর হবে।
মাংস ম্যারিনেট করার সময় টক দই ব্যবহার করেন। এতে হলুদ গুঁড়ো দিতে ভুলবেন না। দইয়ের টক স্বাদকে ব্যালেন্স করে হলুদ। টক দইয়ের সঙ্গে এভাবে খাওয়া যায় হলুদ।
যে কোনও শাক রান্না করার সময়, কিংবা যে রান্নায় রসুন ব্যবহার করবেন, তাতে অবশ্যই হলুদ ব্যবহার করুন। এতে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায়। আর ওই খাবার পুষ্টিকরও হয়।