সর্বশেষ
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা
যে ৫ প্রাণঘাতী রোগের কারণ হাই কোলেস্টেরল
এক লুকের সঙ্গে আরেক লুকের কোনো মিল নেই টালিউড সুইটহার্ট শ্রীজলার
হজম ক্ষমতা বাড়াতে মেনে চলুন কিছু টিপস
গ্রীষ্মে রোদে পোড়া ও নিস্তেজ ত্বককে বিদায় জানাতে মেনে চলুন এই ৭টি হাইড্রেশন হ্যাকস
হাই ট্রাইগ্লিসারাইড : স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
খালি পেটে পেঁপে পাতার রস খেলে মিলবে যেসব উপকার
৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফিংয়ে বিশ্বরেকর্ড
সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত

ডায়াবেটিসে কখন ইনসুলিন প্রয়োজন হয়

অনলাইন ডেস্ক

ডায়াবেটিস হলো একটি বিপাকীয় রোগ, যা ইনসুলিনের ঘাটতি বা অকার্যকারিতার কারণে দেখা দেয়। এর চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো খাদ্যনিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম। দ্বিতীয় ধাপ ওষুধ বা ইনসুলিন। অনেকের মধ্যে ইনসুলিন নেওয়ার বিষয়ে ভয় বা ভ্রান্ত ধারণা থাকলেও এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর এবং নিরাপদ। ডায়াবেটিসে কখন ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো—

টাইপ ডায়াবেটিস
টাইপ–১ ডায়াবেটিস সাধারণত শিশু, কিশোর বা ৩০ বছরের কম বয়সীদের হয়। এ ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষ বিনষ্ট হয়ে যায় এবং ইনসুলিন তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই ধরনের ডায়াবেটিসে একমাত্র চিকিৎসা হলো ইনসুলিন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
গর্ভধারণের সময় ডায়াবেটিস হলে, শুধুমাত্র মেটফোরমিন–জাতীয় মুখে খাওয়ার ওষুধ নিরাপদ। অন্যান্য মুখে খাওয়ার ওষুধ নিষিদ্ধ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়। ইনসুলিন মা ও গর্ভস্থ সন্তানের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ।

টাইপ ডায়াবেটিস
টাইপ–২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের হার প্রায় ৯৫%। এটি সাধারণত ৩০ বছরের পর, স্থূলতা, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাব, কায়িক শ্রমের ঘাটতি এবং পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকলে বেশি দেখা যায়। ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় নিম্নোক্ত অবস্থায়—

  • রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যন্ত বেশি হলে: খালি পেটে ১৪ মিলিমোল বা খাবারের দুই ঘণ্টা পর ১৬.৫ মিলিমোলের বেশি।
  • এইচবিএওয়ানসি বেশি হলে: তিন মাসের গড় এইচবিএওয়ানসি ১০-এর বেশি।
  • ওষুধে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে: তিন ধরনের মুখে খাওয়ার ওষুধ বা সর্বোচ্চ ডোজেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না হলে।
  • জরুরি শারীরিক অবস্থা বা হাসপাতালে ভর্তি হলে: যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, তীব্র সংক্রমণ (প্রস্রাবে সংক্রমণ, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া), জন্ডিস বা পায়ে ঘা।
  • অপারেশনের আগে ও পরে।
  • লিভার কিডনি সমস্যার জটিলতায়।

ভুল ধারণা
অনেকেই মনে করেন, একবার ইনসুলিন শুরু করলে তা সারা জীবন চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এটি সঠিক নয়। জরুরি অবস্থা কেটে গেলে অনেক সময় পুনরায় মুখে খাওয়ার ওষুধে ফেরা সম্ভব। ইনসুলিন ডায়াবেটিস সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই সঠিক সময়ে তা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ