হিন্দি ফিল্মজগতে পারিবারিক ছবি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে যে সিনেমার কথা উঠে আসে, তার অন্যতম একটি হলো ‘বাগবান’। অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী অভিনীত এই ছবি মুক্তির পর দুই দশক পার হলেও তা নিয়ে আলোচনা এখনও চলে। তবে হেমা মালিনী এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ‘বাগবান’ ছবিটি করতে তার আপত্তি ছিল। সিনেমাটি প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি। তবে অভিনেত্রীকে এই কাজে কে রাজি করিয়েছিলেন জানেন!
‘বাগবান’কে হেমা মালিনীর কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে ছবিতে তাঁর চার ছেলে এবং অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শকরাও হেমা মালিনী এবং অমিতাভ বচ্চনের জুটি খুব পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু, হেমা মালিনী এই ছবিটি একটা সময় প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কারণ, প্রথমদিকে ছবিতে নিজের ভূমিকার কথা শুনে একেবারেই খুশি হননি হেমা। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি একথাও জানিয়েছেন, হেমার মা তাঁকে এই ছবিটি করতে রাজি করেছিলেন।
ভারতী এস প্রধানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী বলেছিলেন, তিনি তাঁর মায়ের অনুরোধে ‘বাগবান’ করেছিলেন। অন্যথায় তিনি এটি প্রত্যাখ্যান করতেন। তিনি আরও বলেন, ‘বাগবান’-এর আগে বিআর চোপড়া আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবং বলেন তিনি যেমনটি চান ঠিক তেমন চরিত্রে আমি অভিনয় করব। তিনি আমাকে গল্পটি শুনিয়েও ছিলেন এবং আমি মনে করি এটা তাঁর আশীর্বাদ ছিল। যে কারণে ছবিটি মানুষের খুব ভালো লেগেছে। আজ অবধি মানুষ সেই ছবির কথা মনে রেখেছে।
হেমা মালিনী আরও বলেন, ‘আমার মনে আছে আমি যখন রবি চোপড়ার কাছ থেকে গল্প শুনছিলাম, তখন আমার মা আমার সঙ্গে বসেছিলেন। পরিচালক চলে যাওয়ার পর আমি বললাম, ‘আমাকে চারটে বড় ছেলের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে বলছেন। আমি এই সব কীভাবে করব?’ মা বললেন না, না। তোমাকে এটা করতেই হবে। গল্পটা ভালো।
‘বাগবান’-এর গল্প এমন এক দম্পতিকে নিয়ে, যাদের বিয়ে হয়েছে ৪০ বছর আগে। গল্পে টুইস্ট আসে যখন অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রটি চলচ্চিত্রে অন্যরকম জায়গা করে নেয়। তার অবসর-এরপর গল্পে আসে অন্য মোড়।
অমিতাভ বচ্চন এবং হেমা মালিনী ছাড়াও ছবিতে ছিলেন আমান বর্মা, সমীর সোনি, সাহিল চাড্ডা এবং নাসির খান। ২০০৩ সালে এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল।