সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

নবীজি (সা.)-এর অন্তিম সময়

অনলাইন ডেস্ক

হজরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) রাসুল (সা.)–কে মুমূর্ষু অবস্থায় রেখে তাঁর ঘর থেকে বের হয়ে এলে লোকজন জানতে চান, ‘হে হাসানের পিতা, নবীজি (সা.)–এর কী অবস্থা?’ তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, তিনি এখন সুস্থ।

আব্বাস (রা.) তখন আলী (রা.)-এর হাত ধরে বলেন, ‘খোদার শপথ, তিন দিন পর তোমার অনুগত হয়ে থাকতে হবে। তাঁর অবস্থা যা দেখেছি, তিনি এই অসুস্থ অবস্থাতেই ইন্তেকাল করবেন। মৃত্যুর সময় আবদুল মুত্তালিবের সন্তানদের চেহারা কেমন হয়, তা আমি জানি। চলো, আমরা গিয়ে নবীজি (সা.)-কে জিজ্ঞেস করি, পরবর্তী দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? যদি আমাদের মধ্যে কেউ হয়, তবে তো জেনে নিলাম, অন্য কেউ হলে, তা-ও জানলাম। তিনি আমাদের অসিয়তও করবেন।’

আলী (রা.) বললেন, ‘আল্লাহর শপথ, যদি আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করি আর তিনি আমাদের না করে দেন, তবে তাঁর মৃত্যুর পরে মানুষ আমাদের তা আর দেবে না। আর আমি এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করব না।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৪৪৭)

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.)-এর মৃত্যু ঘনিয়ে এল। তাঁর ঘর লোকে লোকারণ্য। আছেন ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)। নবীজি (সা.) সবাইকে বললেন, “এসো, তোমাদের উপদেশনামা লিখিয়ে দিই যেন আমার পরে তোমরা পথহারা না হও।”

ওমর (রা.) বললেন, “রাসুল (সা.) এখন বেদনায় অস্থির। আমাদের কাছে পবিত্র কোরআন আছে, তা-ই যথেষ্ট।”

ঘরে উপস্থিত লোকদের মধ্যে ভিন্নমত দেখা দিল। কেউ বলল, “তোমরা আসো, নবীজি (সা.) অসিয়তনামা লিখে দেবেন। তোমরা আর গোমরাহ হবে না।” কেউ কেউ ওমরের (রা.) মতো কথা বলল।

মতানৈক্য ও কোলাহল বেড়ে গেলে নবীজি (সা.) বললেন, “তোমরা চলে যাও।”’ (বুখারি, হাদিস: ৫৬৬৯; মুসলিম, হাদিস: ১৬৩৭)

অন্য বর্ণনায় আছে, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি যে অবস্থায় আছি, (সে অবস্থাতেই) আমাকে ছেড়ে দাও, তোমরা যার প্রতি আমাকে ডাকছ, (এটা) তার চেয়ে উত্তম।’ এরপর তিনি তাঁদের তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করে বললেন, ‘আরব উপদ্বীপ থেকে মুশরিকদের বের করে দেবে; প্রতিনিধিদলের কাছ থেকে সেই পরিমাণ করই নেবে, যতটুকু আমি নিতাম। তৃতীয় বিষয়টি বর্ণনাকারী ভুলে গেছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৪৩১; মুসলিম, হাদিস: ১৬৩৭)

এই হাদিস থেকে স্পষ্ট খেলাফত বা কোনো বিষয়েই অসিয়তনামা লেখা হয়নি। রাসুল (সা.) একটি অসিয়তনামা লিখতে চেয়েছিলেন সত্য। পরে তিনি স্বেচ্ছায় সে ইচ্ছা ত্যাগ করেন।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ