সর্বশেষ
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের শক্ত প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা
যে ৫ প্রাণঘাতী রোগের কারণ হাই কোলেস্টেরল
এক লুকের সঙ্গে আরেক লুকের কোনো মিল নেই টালিউড সুইটহার্ট শ্রীজলার
হজম ক্ষমতা বাড়াতে মেনে চলুন কিছু টিপস
গ্রীষ্মে রোদে পোড়া ও নিস্তেজ ত্বককে বিদায় জানাতে মেনে চলুন এই ৭টি হাইড্রেশন হ্যাকস
হাই ট্রাইগ্লিসারাইড : স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়
খালি পেটে পেঁপে পাতার রস খেলে মিলবে যেসব উপকার
৮৬ বছর বয়সে উইন্ডসার্ফিংয়ে বিশ্বরেকর্ড
সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মালিক হলেই কোরবানি ওয়াজিব
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত

ভারত ও চীন কি সত্যিই ‘বন্ধু’ হতে পারবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারত ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের কূটনৈতিক জটিলতা রয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই একদিকে যেমন ‘ড্রাগন-হাতির সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব’ চান, তেমনি একই সময়ে চীন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২৪৯ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণা করেছে।

চীনের বার্তা

চীন সম্প্রতি তাদের সামরিক বাজেট ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। যা শুধু প্রতিবেশী ভারতের জন্যই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও একটি স্পষ্ট বার্তা। যুক্তরাষ্ট্র যখন তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে, তখন চীন প্রতিক্রিয়াস্বরূপ জানিয়ে দিয়েছে, ‘কয়েকটি মার্কিন অস্ত্র তাইওয়ানের স্বাধীনতার অনিবার্য পরাজয় ঠেকাতে পারবে না’।

অন্যদিকে চীন ভারতকে বড় কোনো নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে না বললেও, বাস্তবে তারা ভারতের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। তারা ইউনান প্রদেশে নতুন করে বড় পরিসরের সামরিক রাডার (LPAR) বসিয়েছে, যা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।

ভারতের জন্য সতর্কবার্তা

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ৬.৮১ লাখ কোটি রুপি, যা চীনের বাজেটের তুলনায় অনেক কম। সীমান্ত পরিকাঠামোর দিক থেকেও ভারত চীনের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। এর মানে, ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

চীন বলছে, সীমান্ত বিরোধগুলো ভারত-চীন সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলা উচিত নয়। তবে বাস্তবতা হলো- ২০২০ সালে লাদাখের ডেপসাং ও দেমচক এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দুই দেশের সম্পর্কে গভীর সংকট তৈরি করেছে।

ভারত কী করতে পারে?

ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি হয়তো এই সংকটের সমাধানে সহায়ক হতে পারে। ভারত যদি চীনের কাছ থেকে পণ্য আমদানির পরিবর্তে চীনা মূলধন আমদানির দিকে ঝোঁকে, তাহলে কিছুটা কৌশলগত ভারসাম্য আনা সম্ভব।

এছাড়াও ভারতের সামনে সুযোগ রয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর বক্তব্য, ‘চীন ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত’।

ভারত চীনের এই অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে সম্পর্কের কূটনৈতিক দিকটি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।

চূড়ান্ত ভাবনা

মোদ্দাকথা হলো- ভারত ও চীনের সম্পর্ক কখনোই সহজ ছিল না, ভবিষ্যতেও সহজ হবে না। তবে সতর্কতা, কৌশলগত ভারসাম্য এবং বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করে ভারত চীনকে নিজের স্বার্থে কাজ করতে বাধ্য করতে পারে।

(এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত নিশথা গৌতমের প্রতিবেদন থেকে অনূদিত)

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ