সর্বশেষ
পদত্যাগ করে ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন নেতা
কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের অনশন
বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চলছে: তারেক রহমান
গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বৈঠক
সিনিয়র অফিসার পদে লোক নেবে বিকাশ
সরকার না সরালে পদত্যাগ করব না: কুয়েট ভিসি
পহেলগাঁওকাণ্ডে হৃদয় ভেঙে গেছে বলিউড তারকাদের
প্রধান উপদেষ্টাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ মির্জা আব্বাসের
একাধিক কাজ নিয়ে মিষ্টি জান্নাতের ব্যস্ততা
পাকিস্তানি টিকটকারের ভিডিও ফাঁস, অনলাইনে তোলপাড়!
সোনার দাম সকালে বাড়ল বিকেলে কমল
‘এক বাক্সে ভোট পাঠাতে’ সমমনা ৫ ইসলামি দলের ঐকমত্য
ভারতে মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একের পর এক আইন বাস্তবায়ন করছে মোদি সরকার: মামুনুল হক
কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, হলও খুলেছে
কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু

‘মামলা যখন আছে অ্যারেস্ট হবেই, এগুলা নিয়া এতো কান্নাকাটি করার কিছু নাই’

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী, একাধিক হত্যা মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে (ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতি সাজ্জাদ) অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তাকে রাজধানী ঢাকা থেকে আটক করা হয়।

সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের পরপরই তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন। ৫৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, আমার জামাই গতকাল রাতে গ্রেপ্তার হয়েছে, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কিছু নেই। মামলা যখন আছে, তখন গ্রেপ্তার হবেই। কিন্তু যারা মনে করছেন, সে আর কোনো দিন বের হবে না, তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। আমরা কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে তাকে বের করে আনব, সে বীরের বেশে ফিরে আসবে।

তিনি আরও বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের ছাড়া হবে না। এত দিন আমরা পলাতক ছিলাম, এখন পালিয়ে থাকার পালা তাদের। সাজ্জাদের সমর্থকরা দোয়া করবেন, যাতে ১০-১২ দিনের মধ্যে জামিন হয়ে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে পেটানোর হুমকি দেন সাজ্জাদ। এরপর তাকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সাজ্জাদ অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন বিদেশে পলাতক আরেক সন্ত্রাসীর সহযোগী হিসেবে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি বায়েজিদ বোস্তামী, অক্সিজেন অনন্যা, শীতলঝর্ণা, কালারপুল, হাটহাজারী কুয়াইশ, চান্দগাঁও হাজীরপুল ও পাঁচলাইশ এলাকায় ১৫-২০ জনের দল নিয়ে চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন।

গত বছরের ২৯ আগস্ট বায়েজিদ বোস্তামী থানার কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার (৩২) ও মোহাম্মদ আনিস (৩৮) নামে দুজনকে হত্যা করা হয়। এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ ও তার সহযোগীদের আসামি করা হয়। এছাড়া, গত ২১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানা এলাকার শমশের পাড়ায় আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬) নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশ আরও জানায়, ১৮ সেপ্টেম্বর কালারপুল এলাকায় শটগান হাতে নিয়ে সাজ্জাদসহ আরও দুজন একটি নির্মাণাধীন ভবনে ঢুকে গুলি চালায় এবং মালিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া, ৫ ডিসেম্বর অক্সিজেন মোড় এলাকায় পুলিশ অভিযানে গেলে সাজ্জাদ গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়, এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ চারজন আহত হন।

এরপর থেকে পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালালেও এতদিন গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে এবার তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ