বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে কলম্বিয়াকে শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয়ভাবে হারিয়েছে ব্রাজিল। ৯৮ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের করা গোলে ২-১ গোলের স্বস্তির জয় পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তবে এদিন কলম্বিয়াকে হারাতে বদলি হিসেবে ব্রাজিল নামিয়েছে ৭ ফুটবলারকে। যা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। যেখানে ৫ ফুটবলারের বদলি হয় সেখানে কোন নিয়মে ৭ বদলি খেলিয়েছে ব্রাজিল? কী বলছে নিয়ম?
অবশ্য ম্যাচটি যারা দেখেছেন তারা বিষয়টি জানেন, মূলত, ফুটবলারদের চোট জনিত কারণে সাতজনকে বদলি হিসেবে নামাতে বাধ্য হয়েছে ব্রাজিল। যে কারণে লঙ্ঘন হয়নি কোনো নিয়ম। ম্যাচে কনকাসনের (ইনজুরিজনিত বদলি) কারণে দুটি বাড়তি খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ পেয়েছে ব্রাজিল। যা নিয়মের অধীনে থেকেই।
এদিন ম্যাচে চোটের কারণে খেলার মাঝেই মাঠ ছাড়তে হয় মিডফিল্ডার গারসন ও গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে। ফলে তাদের স্থলাভিষিক্ত কাউকে তো নামাতেই হতো। সেই কাজটিই করেছে ব্রাজিল। যা স্বাভাবিক সাবস্টিটিউটের আওতায় পড়বে না।
কনকাশন প্রোটোকল নিয়ম অনুযায়ী– যেকোনো দলই কনকাশন সাবস্টিটিউট করার প্রয়োজন হলে বাড়তি খেলোয়াড় নামানোর অনুমতি পায়। কোনো ফুটবলার যদি ম্যাচের সময় মাথায় আঘাত পান তবে তার জায়গায় একজন নতুন খেলোয়াড় মাঠে প্রবেশ করতে পারবে। এ ছাড়া কোনো দল কনকাশন সাব করলে, বাড়তি একজন খেলোয়াড় বদলি নামাতে পারবে তাদের প্রতিপক্ষরাও।
অর্থাৎ, ইনজুরির কারণে ওই খেলোয়াড় বদলি করার সুযোগ তো থাকছেই, এর বাইরে স্বাভাবিক নিয়মে ৫টি বদল করতে পারে দলগুলো। ব্রাজিল বাড়তি সাব করায় অ্যালিসন ও গারসনের কনকাশন হিসেবে।
এর বাইরে ভেন্ডারসন, গুইমারেস, রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস ও ম্যাথিউস কুনহার বদলি ফুটবলার নামিয়েছিল ব্রাজিল। এছাড়াও ১০ ফুটবলারের ওপর ছিল হলুদ কার্ডের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা। এই ম্যাচে কার্ড দেখলে আর্জেন্টিনা ম্যাচ থেকে ছিটকে যেত তারা। যাদের মধ্যে দুজন হলুদ কার্ড দেখেছেন। যে কারণে গুইমারেস ও গ্যাব্রিয়েল মাগালায়েসের খেলা হচ্ছে না আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ ২৬ মার্চ। যেখানে দলটি মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।