সর্বশেষ
শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু: দুদক কমিশনার
কাতার আমিরের মায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
ঢাকায় বড় সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
বেনজীরের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করল ইন্টারপোল
‘বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা সদস্য নেবে কাতার’
আগামী বিশ্বকাপেও রোনালদোকে চান ফিগো
সংসার ভাঙার গল্পে রাশেদ সীমান্ত-অহনা
জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের ‘হারানো সোয়েটার’ পাওয়া গেছে
সমকালের দেওয়া উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মুশফিকের পরিবার
চাকরির প্রথম দিনেই কাভার্ড ভ্যানের চাপায় প্রাণ গেল ইমনের
মব জাস্টিস আর অ্যালাউ নয়, অনেক হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখা
এক ব্যক্তিকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী চায় বিএনপি
বিয়ে বা বাচ্চা নিলেই মিলবে অর্থসহ বিভিন্ন সুযোগ

গ্রামের হাজারও মানুষকে কাঁদিয়ে বাবা-মা ও ছেলের দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈশ্বরদী থেকে ঈদের কেনাকাটা করে সিএনজিতে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাবা-মা ও ছেলেকে চিরনিদ্রায় শায়িত করলেন স্বজনরা। একসঙ্গে একই পরিবারের তিনজনের এমন করুণ মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন হয়ে গেছেন গ্রামের হাজারও মানুষ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার দিয়াড় বাঘইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

শেষ বিদায় জানাতে জানাজায় হাজারও মানুষের ঢল নামে। পরে জানাজা শেষ করে পাশাপাশি তিনটি কবরে দাফন করা হয়েছে বাবা, মা ও ছেলেকে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঈশ্বরদী থেকে ঈদের কেনাকাটা করে সিএনজিতে বাড়ি ফেরার পথে দাশুড়িয়ার বহরপুর গ্রামে যাত্রীবাহি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে তারাসহ ৫ জন নিহত হন।

পাশাপাশি কবরে শায়িতরা হলেন- উপজেলার বাঘইল গ্রামের একই পরিবারের বাবু হোসেনের ছেলে রাব্বি হোসেন (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (২৭), তাদের ছেলে মুস্তাকিম (২)।

এদিকে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে যখন নিজ গ্রামে একই পরিবারের তিনজনের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় তখন থেকেই গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। একসঙ্গে একই পরিবারের তিনজনের এমন করুণ মৃত্যু স্বজনরা মেনে নিতে পারছিল না।

নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত রাব্বি হোসেন তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন ও ছোট্ট ছেলে মুস্তাকিমকে নিয়ে ঈশ্বরদী বাজার থেকে ঈদের কেনাকাটা করে অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় অটোরিকশাটি দাশুড়িয়া বহরপুর এলাকা পর্যন্ত পৌঁছলে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা ৩ জনই ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় অন্য এলাকার আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত রাব্বি হোসেনের ছোট ভাই সায়েম বলেন, আমার ভাই-ভাবি ও ভাতিজা বাজারে শপিং করে বাড়ি ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আমাকে হাসপাতাল থেকে মুঠোফোনে জানানো হলে আমি এসে দেখি তাদের লাশ পড়ে রয়েছে। এমন করুণ মৃত্যু যেন আর কোনো পরিবারে না হয়।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ