সর্বশেষ
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
যে ফলগুলো খেলে গরমে আপনার চুল ভালো থাকবে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুফিউর
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস
রাকসুর চূড়ান্ত বিধিমালা হয়নি, জুনে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, ভোগান্তি যাত্রীদের
নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান
৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ডাক
সিইসির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি
ক্যাস্ট্রলের আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর রক এনার্জি
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, প্রশাসন আসলেই কার পক্ষে?
৮ মাস পর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল  
সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব

অনলাইন ডেস্ক

চব্বিশের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার মতোই একাত্তরের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই অনুষ্ঠানে শারমিন আহমদ বলেন, ২৫ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার আগে শেখ মুজিব তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। ওই রাতে হাসিনার মতোই নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় রেখে উনি (শেখ মুজিব) পালিয়ে গেলেন। সেই রাতে তিনি তাজউদ্দিন আহমদকে বলে গেলেন ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও, পরশু হরতাল ডেকেছি। এখনো খোঁজ করলে সেই হরতালের পোস্টারগুলোও পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, এই হরতালের ঘোষণা তিনি যখন দিলেন তখন অলরেডি আমরা জানতে পেরেছি যে, ক্র্যাকডাউন হবে। এই খবরটি কিন্তু তখন ফাঁস। শেখ মুজিব কিন্তু এর সবকিছুই জানতেন। তারপরও তিনি নেতাকর্মীদের মৃত্যুর মুখে রেখে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা দিলেন না। তিনি একবারও বলেননি তোমরা সরকার গঠন করো, শুধু তাই নয়- তিনি কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণাটুকুও দিলেন না।

শারমিন আহমদ আরও বলেন, সেই রাতে বাবার সঙ্গে শেখ মুজিবের অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, ‘মুজিব ভাই পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন। আপনি তো কোনো নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে না’। কিন্তু বাবার এসব কথা শুনে উনি শুধু বললেন ‘তোমরা যা করার করবে’। তখন বাবা বলেছিলেন, আপনি কী কোনো বৈঠক করে বলে দিয়েছেন যে, আপনার পরে চেইন অব কমান্ড কী হবে?

তিনি বলেন, যার ফলে এসব নিয়ে বিশাল একটা বিভক্তি আছে। এবং ওই রাতে আমার বাবা যখন উদভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক পায়চারি করছিলেন তখন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এসে বললেন, ‘তাজউদ্দিন ভাই আমি তো মুজিব ভাইয়ের ওখানে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আসবেন না। উনি তো গোসল করে পরিপাটি হয়ে গ্রেফতার হওয়ার জন্য রেডি’।

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চাপা দেওয়া হয়েছে দাবি করে তাজউদ্দীন কন্যা বলেন, এমন অনেক কথা আছে যেগুলো বের হয়ে আসবে বলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল এতোকাল। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাদ দিয়ে তারা লাফ দিয়ে ওই ৭ মার্চ, ২৬ মার্চ করে ওনারা চলে গেছেন ৭২- এর দিকে। এটা তো ভয়াবহ।

প্রসঙ্গত, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের পর জাতীয় চার নেতার পরিবারের সঙ্গে শেখ পরিবারের বিরোধ সামনে আসে। বঙ্গতাজের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ একাধিকবার দাবি করেছেন, চার নেতার পরিবারকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন হাসিনা।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ