রাজিবুল হাসান রাজা। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাইয়ের সুপারিশে মানিকগঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে ল্যাব ইনচার্জ পদে চাকরি নেন।
এরপর আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে শুরু করেন অনিয়ম-দুর্নীতি। গড়ে তোলে টেস্ট কিট বাণিজ্যের সিন্ডিকেট।
এরপর সরকারি হাসপাতালের টেস্ট কিট প্রাইভেট হাসপাতালে বিক্রি করে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের কর্মরত নারী স্টাফদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেনের আশীর্বাদে রাজিবুল হাসান রাজা মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ পদ বাগিয়ে নেন।
শুধু রাজাই নন, তার ভাই রবিকেও মেডিকেল কলেজের স্টোর ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরেক আত্মীয় খোরশেদ আলমকে করা হয়েছে ফার্মেসি ইনচার্জ। সব মিলিয়ে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে রাজত্ব করছে ল্যাব ইনচার্জ রাজিবুল ইসলাম রাজার পরিবার।
অভিযোগ রয়েছে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারিভাবে সরবরাহকৃত টেস্ট কিট প্রাইভেট হাসপাতাল সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে বিক্রি করতেন রাজিবুল ইসলাম রাজা। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কিট নেই বলে প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়ে কমিশন নিতেন।
এ নিয়ে হাসপাতালে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইসরাফিলের পক্ষে ঢাকুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করে রাজিবুল হাসান রাজা। আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তনের পরও তার প্রভাব বিস্তার কমেনি।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে কর্মরত এক নারী স্টাফ জানান, রাজা তাকে প্রায়ই কল দিয়ে একা তার রুমে ডাকতেন। সারা না দেওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
ল্যাব ইনচার্জ রাজিবুল ইসলাম রাজা বলেন, ‘এসব বিষয়ের সঙ্গে আমি জড়িত না। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে।’
হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিকুল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া কেউ সরকারি চাকরি করে প্রাইভেট হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারবে না।