সর্বশেষ
বোরো ধানের নমুনা শস্য কর্তন শুরু
ওটিটিতে মুক্তি পেল তাসনিয়া ফারিণের প্রথম সিনেমা
ভিসা ইস্যু নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে ফ্যাসিবাদ সুযোগ নেবে: রিজভী
কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী হচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ
হিন্দু নেতাকে অপহরণের পর হত্যা, যা বলল ভারত
আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে কড়া বার্তা হাসনাতের
এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়: নাহিদ ইসলাম
দেরি করে পৌঁছানোয় স্বপ্নভঙ্গ ওদের
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার তাগিদ
নির্বাচনের জন্য এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি
বিলাসবহুল অফিস ও বন্দর কমিটি নিয়ে যা বললেন হান্নান মাসউদ
শাহজাদপুরে যুবদল কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া প্রমাণ করে ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়: দুদু
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ স্লোগানে বসুন্ধরা শুভসংঘের মনপুরা উপজেলা কমিটি গঠিত

পিরিয়ড হলে নারীরা শবেকদরে যেভাবে ইবাদত করবেন

অনলাইন ডেস্ক

লাইলাতুল কদর বা শবেকদর করুণাময় রবের পক্ষ থেকে মুমিন বান্দার জন্য বিশেষ পুরস্কার। এই রাত স্বল্প সময়ে অসংখ্য সওয়াব অর্জন করে নেওয়ার রাত। এই মহা নিয়ামত আল্লাহ তাআলা একমাত্র উম্মতে মুহাম্মদিকেই দান করেছেন। অন্য কোনো নবীর উম্মতকে এ সুযোগ দান করেননি।

এ রাতে আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা রহমত, কল্যাণ ও বরকত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন।

কুরআন ও হাদিসের আলোকে শবেকদর উপলক্ষ্যে আমাদের বিশেষ ২টি আমল করণীয় :

১. শবেকদরের ফজিলত পাওয়ার উদ্দেশ্যে কিছু নফল নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির ইত্যাদি যে-কোনো ইবাদত করা। কত রাকাত নফল বা কী কী সূরা দিয়ে পড়তে হবে তা নির্দিষ্ট নেই- যত রাকাত ইচ্ছা, যে সূরা দিয়ে ইচ্ছা নফল বা তাহাজ্জুতের নিয়তে পড়া যায়।

২. দুআ করা, বিশেষভাবে মাগফিরাতের দুআ করা। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। হযরত আয়েশা রা.কে নবীজি শবেকদরে এ দুআটি পড়তে শিক্ষা দিয়েছেন-

اَللّٰهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ.

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া, ফা‘ফু আন্নী।

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি বড়ই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো; তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও।’

শবে কদরের ফজিলত নারী-পুরুষ সবার জন্য সমান। কোনো নারীর পিরিয়ড হলে তিনি এ রাতের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবে না। তিনি কুরআন তেলাওয়াত, নামাজ এবং কাবা শরিফ তাওয়াফ করা ছাড়া বাকি সব ইবাদত করতে পারবেন। যেমন, জিকির-আজকার করা, দোয়া-দরুদ পড়া ইত্যাদি।

তাই অন্যান্য দিনের আমলগুলো পিরিয়ড অবস্থায় করে যেতে পারবেন বরং এটাই উত্তম হবে।।

এছাড়াও পিরিয়ড অবস্থায় অনেক আমল করা যায় যেমন-

১) যত খুশি জিকির করা যায়।

২) যত খুশি ইস্তেগফার করা যায়।

৩) জাহান্নামের ভয়াবহতা নিয়ে গভীর চিন্তা করা যায়। (কারণ হায়েজ অবস্থায় সময় বেশি পাওয়া যায়)

৪) জান্নাত নিয়ে গভীর চিন্তার সাগরে ডুবে থাকা যায়।

৫) অতিমাত্রায় দুরুদ পাঠ করা যায়।

৬) দোয়া কবুলের সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া করা যায়।

৭) রাতের শেষাংশে অল্প সময়ের জন্য উঠে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়।

৮) সবচেয়ে বড় কথা, অতিমাত্রায় দোয়া, দুরুদ- জিকির, ইস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় এবং নেকির পাল্লা ভারি করা যায় যা নাজাতের পথ।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ