ডাল প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস। বিশেষ করে নিরামিষাশীদের খাদ্যতালিকায় মূলত ডালই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। বাঙালি বাড়িতে রোজের ভাতের পাতে মুগ কিংবা মুসুর ডালের দেখা মেলে। লুচি-পরোটার সঙ্গে জায়গা পায় ছোলার ডাল। আর মাঝে মধ্যে ডায়েটে থাকে মটর, বিউলি কিংবা অড়হর ডাল। কিন্তু স্বাস্ব্যগুণে কোন ডাল এগিয়ে জানেন? রইল তারই হদিশ।
মুগ ডালে ‘বিএমআর’ বা মৌল বিপাকহার ভাল হয়। সাধারণত তিন ধরনের মুগ ডাল হয়। হলুদ মুগ, গোটা সবুজ মুগ ও ভাঙ্গা সবুজ মুগ। এদের মধ্যে হলুদ মুগ ও গোটা সবুজ মুগেই পুষ্টিগুণ সর্বোচ্চ। এক কাপ গোটা সবুজ মুগে রয়েছে ২৩৬ ক্যালোরি, ১৬ গ্রাম প্রোটিন এবং ১৬ গ্রাম ফাইবার। অন্যদিকে সমপরিমাণ হলুদ মুগে রয়েছে ১৪৭ ক্যালোরি, ২৫ গ্রাম প্রোটিন ও ১২ গ্রাম ফাইবার।
মুসুর ডাল হজম করা সহজ। এক কাপ ভাঙ্গা মসুর ডালে রয়েছে ১৮০ ক্যালোরি, ১০ গ্রাম প্রোটিন ও ৬ গ্রাম ফাইবার। অন্যদিকে এক কাপ গোটা মসুর ডাল খেলে মিলবে ১২০ ক্যালোরি, ১৪ গ্রাম প্রোটিন ও ৮ গ্রাম ফাইবার। হিসেব অনুযায়ী, মুগ ও মুসুরের পুষ্টিমূল্য তুল্যমূল্য। দুটি ডালই শরীরের প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এছাড়া ঘাতক কোলেস্টেরল এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। তবে মুগ-মুসুর মিলিয়ে খেলে বেশি উপকার মেলে।
পুষ্টিবিদদের মতে, অড়হর ডালের রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ প্রোটিন। তার সঙ্গে রয়েছে ভিটামিন বি, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম। ফ্যাট এবং এটির ক্যালোরি খুবই কম। সব মিলে অনেকটা এনার্জি জোগায় এই ডাল।
পুষ্টিগুণে খুব বেশি পিছিয়ে নেই ছোলার ডালও। প্রোটিনের সঙ্গেই আয়রন, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভান্ডার এই ডাল। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে এই ডাল খেতে পারেন। ভাল থাকবে হৃদযন্ত্রও।
হজমের সমস্যা কমাতে বিউলির ডাল অত্যন্ত কার্যকর। ভাতের সঙ্গে ছাড়াও পরোটা বা রুটির সঙ্গেও অনেকে এই ডাল খেতে ভালবাসেন। এই ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকলে প্লেটে রাখুন রাজমা ডাল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর ফাইবার যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।