সর্বশেষ
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
যে ফলগুলো খেলে গরমে আপনার চুল ভালো থাকবে
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সুফিউর
শেখ হাসিনার তদন্ত প্রতিবেদন ২৪ জুনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রয়াস
রাকসুর চূড়ান্ত বিধিমালা হয়নি, জুনে নির্বাচন নিয়ে সংশয়
মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাসও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়, ভোগান্তি যাত্রীদের
নারী বিশ্বকাপে খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান
৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ডাক
সিইসির সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে এনসিপি
ক্যাস্ট্রলের আফটারমার্কেট ডিস্ট্রিবিউটর রক এনার্জি
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয়
বিএনপি-এনসিপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, প্রশাসন আসলেই কার পক্ষে?
৮ মাস পর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল  
সাবেক ১১ মন্ত্রীসহ ১৯ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

বার মাসে তের ফসল ফলিয়েও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না চরাঞ্চলের কৃষক

জ্যেষ্ঠ প্রতি‌বেদক

কৃষি নির্ভর উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার চরগুলোতে ব্যাপক ফলন হলেও সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে পরিবহন খরচ পুষিয়ে পন্য আনা নেওয়া নির্ধারিত ক্রয়বিক্রয় কেন্দ্র না থাকায় বার মাসে তের ফসল ফলিয়েও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। চরবেষ্টিত সকল নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। তবুও থেমে নেই চরাঞ্চালের এই দরিদ্র মানুষগুলো। খেটে খাওয়া চরের মানুষের বর্ষায় যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। খড়ায় নদী শুকিয়ে দুই থেকে তিন মাইল হেটে যেতে হয় ওই নৌ ঘাটে। তখন কৃষি জাত পণ্য মাথায় করে নিয়ে পায়ে হেটে আসা ছাড়া কোন উপায় থাকে না তাদের। তারপর নৌকা করে, পরে অটো বা ভ্যানে কৃষি পণ্য আনতে হয় বিভিন্ন হাট বাজারে। আর যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে তার চিকিৎসা নিয়ে পড়তে হয় চরম বিপাকে।

জানা গেছে, জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদ, তিস্তা যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলে জেগে উঠেছে ছোটবড় ১৬৫টি চরদ্বীপচর। এসব চরে প্রায় লাখ মানুষের বসবাস। তাদের একমাত্র পেশা হচ্ছে কৃষি। ফুলছড়ি উপজেলার চর কাবিলপুর কৃষক হায়দার আলী (৫৫) বলেন, অনেক দুর থাকি হাটি আসা নাগে (হেটে আসতে হয়) আমাগরে বিভিন্ন সমস্যা। ফসল বেচপার নিগবের (বেচতে নিয়ে যেতে চাইলে) গেলে কোন যানবহন নাই। মাথাত করি নিয়ে যাওন নাগে নাও ঘাটত, নাওত করি নদী পার হওন নাগে, তারপরে অটো বা ভ্যানত করি নিয়ে যাই হাটত। এত কষ্ট করি নিয়ে যায়য়্যা দামে পোষায় না। আক্ষেপ করে এই কথাগুলো বলেন তিনি।

শুধু হায়দার আলী নয়। এমন অভিযোগ মোসলেম আলী, রহমান মিয়া, আলেয়া বেগমসহ চরবাসির। ষাটর্ধো বয়সী মুদি দোকানী মোসলেম আলী বলেন, যামো কাবিলপুর, করি মনোহারি কাঁচামালের ব্যাবসা। ঘাড়ত নিবার পারি দশ সের কিন্তু হছে ১মন এখন যাতেই হামার ঠ্যাং ছড়ায় গেল গা (পা ব্যাথা হয়ে গেছে) কষ্ট আমগড়ে এহনে কোন যানবহন নাই, অটো নাই, ভ্যান নাই, যাওয়ার অনেক কষ্ট। ঘোড়ার গাড়ি পাওয়া যায় কিন্তু ট্যাকা নাগে। এই কথা ওই এলাকার রহমান মিয়ারও।
সচেতন মহল বলছেন, ‘আমার গ্রাম, আমার শহরপ্রকল্পটির উদ্দ্যোগ চরাঞ্চলের প্রয়োগ করা হয় তাহলে চরের মানুষের উৎপাদিত ফসল সহজেই বিক্রি করে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবে প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে চরবাসির।

এব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা নিবার্হী অফিসার জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, সরকারআমার গ্রাম, আমার শহরনামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। যেখানে নিশ্চিত করা হবে কুষি পণ্য ক্রয় বিক্রয় কেন্দ্রসহ সকল নাগরিক সুবিধা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই উপজেলার একটা ইউনিয়নেআমার গ্রাম, আমার শহরপ্রতিষ্ঠায় একটা সমীক্ষা হয়ে গেছে। তার পর থেকে এব্যাপারে আর কোন তথ্য আসেনি।

আমার গ্রাম, আমার শহরে উদ্দ্যেশ্য গ্রামবাংলার প্রাকৃতিক রূপ অটুট রেখে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেয়া। যেখানে থাকবে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আধুনিক শহরের সব সুবিধা।

এর আগে ১৯৯৯ সালের ২০ মে শহরের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী অবহেলিত, অসহায় এবং ভাগ্য বিড়ম্বিত ছিন্নমূল মানুষদের গ্রামের আপন ঠিকানায় ফিরিয়ে দেয়ার জন্যঘরে ফেরা কর্মসূচিহাতে নেন সরকার। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বন্ধ হয়ে যায় সেইঘরে ফেরা কর্মসূচি

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ