সর্বশেষ
পর্যাপ্ত সংস্কার ও বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়: গোলাম পরওয়ার
কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওজন কমায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় তরমুজ
হৃতিকের চেয়েও নাগা স্মার্ট—সামান্থার মন্তব্যে নেটিজেনরা অবাক
বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা, কঠিন হতে পারে ইউরোপে আশ্রয়
আইপিএলে হঠাৎ ব্যাট মাপা শুরু হলো কেন?
অভিনয় নয়, শিল্পার কোটি কোটি টাকা আসে যে কাজ করে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক বোট ক্লাবের সভাপতি হন বেনজীর
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, করুন আবেদন, পদ ১৮৭
বিশ্বকাপের টিকিট পেল পাকিস্তান
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারত যাচ্ছেন জেডি ভ্যান্স
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ অবৈধ ৫০৬ শ্রমিক আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় খোঁজ নিতে সহকর্মীরা গেলেন বাড়িতে, অতঃপর…
মৌসুম শেষ না হতেই পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লো
জুমার দিন যে আমলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ঈদুল ফিতরের পর করণীয় ও বর্জনীয় আমল

অনলাইন ডেস্ক

ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য এক আনন্দের দিন। রমজানে যেমন একজন মুসলমান তার জীবন ইসলামিক বিধান অনুযায়ী পরিচালিত করে, তেমনি ঈদের পরও একজন মুসলমানকে তার জীবন ইসলামের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত করতে হবে। নিচে কুরআন সুন্নাহর আলোকে ঈদের পরবর্তী করণীয় বর্জনীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:

ঈদুল ফিতরের পরবর্তী করণীয় কাজসমূহ

. নিয়মিত ইবাদত অব্যাহত রাখা:

রমজান মাসে আমরা যেভাবে নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত অন্যান্য ইবাদতে মনোনিবেশ করেছিলাম, তা ঈদের পরও অব্যাহত রাখা উচিত।

আল্লাহ  তাআলা বলেন: তোমার প্রতিপালকের ইবাদত কর, যতক্ষণ না নিশ্চিত জিনিস (মৃত্যু) তোমার কাছে আসে। (সূরা আলহিজর: ৯৯)

. ছয় রোজা রাখা (শাওয়ালের ছয় রোজা):

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল, অতঃপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।(সহিহ মুসলিম: ১১৬৪)

. সৎ কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা:

রমজানে দানসদকা, ভালো কাজ, আত্মসংযম অন্যদের প্রতি সদাচরণ যে অভ্যাস গড়ে উঠেছে, তা ঈদের পরও বজায় রাখা উচিত।

. অহংকার অপব্যয় পরিহার করা:

ঈদের আনন্দ উপলক্ষে কেউ যেন অহংকার বা অপব্যয়ে লিপ্ত না হয়। আল্লাহ বলেন: অপচয় করো না। নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। (সূরা আলইসরা: ২৬২৭)

. পরিবার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা:

ঈদের সময় যেমন আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর নেওয়া হয় তেমনি ঈদের পরও আত্মীয়তার বন্ধন জোরদার করা উচিত। কারণ আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহিহ বুখারি: ৫৯৮৪, সহিহ মুসলিম: ২৫৫৬)

ঈদুল ফিতরের পরবর্তী বর্জনীয় কাজসমূহ

. ইবাদতে অলসতা গাফিলতি করা:

অনেকেই রমজানের পর ইবাদতে শিথিলতা দেখায়, যা উচিত নয়। ঈদের পরও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, নফল ইবাদত কুরআন তিলাওয়াত অব্যাহত রাখতে হবে।

. পাপাচারে লিপ্ত হওয়া:

ঈদের আনন্দ উপলক্ষে কেউ যেন পাপাচারে লিপ্ত না হয়। গানবাজনা, অশ্লীলতা অনৈতিক কাজ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: যে ব্যক্তি আমাদের (ইসলামের) এই পথ থেকে বিচ্যুত কিছু উদ্ভাবন করবে, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। (সহিহ বুখারি: ২৬৯৭)

. হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া:

কিছু মানুষ ঈদের আনন্দে এমন কাজ করে যা ইসলাম অনুমোদন করে না, যেমনমদপান, জুয়া খেলা, অনৈতিক বিনোদন ইত্যাদি।

. ঈদের পরে গরীবদুঃখীদের ভুলে যাওয়া:

রমজানে সবাই দানসদকা করতে আগ্রহী থাকে, কিন্তু ঈদের পর তা ভুলে যায়। অথচ সারা বছর দানসদকা চালিয়ে যাওয়া উচিত। কেননা, একদিন বা এক মাসের দান দখিনা দিয়ে এক বছর অতিবাহিত করা যায় না।

. ঈদের পরে অহংকার আত্মগরিমায় লিপ্ত হওয়া:

কেউ যেন ঈদের আনন্দে অহংকার বা আত্মগরিমায় লিপ্ত না হয়। আল্লাহ অহংকারীদের পছন্দ করেন না।

সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, আর মানুষের প্রতি তোমার গাল ফুলিয়ে রেখো না (অর্থাৎ অহংকার করো না) এবং পৃথিবীতে দম্ভভরে চলাফেরা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো অহংকারী আত্মগর্বিত ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।(সূরা লোকমান: ১৮)

উপসংহার:

ঈদুল ফিতর আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আসে, কিন্তু ঈদের পরও আমাদের জীবনকে ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত করতে হবে।

ঈদের পর নেক আমল অব্যাহত রাখা এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা আমাদের দায়িত্ব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ঈদের আনন্দ সঠিকভাবে উপভোগ করার তাওফিক দান করুন এবং ঈদের পরও দ্বীনের পথে অবিচল থাকার শক্তি দান করুন। আমিন।

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ