সর্বশেষ
পর্যাপ্ত সংস্কার ও বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়: গোলাম পরওয়ার
কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওজন কমায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় তরমুজ
হৃতিকের চেয়েও নাগা স্মার্ট—সামান্থার মন্তব্যে নেটিজেনরা অবাক
বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা, কঠিন হতে পারে ইউরোপে আশ্রয়
আইপিএলে হঠাৎ ব্যাট মাপা শুরু হলো কেন?
অভিনয় নয়, শিল্পার কোটি কোটি টাকা আসে যে কাজ করে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক বোট ক্লাবের সভাপতি হন বেনজীর
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, করুন আবেদন, পদ ১৮৭
বিশ্বকাপের টিকিট পেল পাকিস্তান
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারত যাচ্ছেন জেডি ভ্যান্স
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ অবৈধ ৫০৬ শ্রমিক আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় খোঁজ নিতে সহকর্মীরা গেলেন বাড়িতে, অতঃপর…
মৌসুম শেষ না হতেই পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লো
জুমার দিন যে আমলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ফাঁকা রাজধানীতে যাতায়াতে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল ফিতরের চতুর্থ দিনেও অনেকটাই ফাঁকা ছিল রাজধানীর সব প্রধান সড়ক। এদিন গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়লেও তুলনামূলক কম ছিল যাত্রী উপস্থিতি। নির্দিষ্ট স্টপেজে অপেক্ষার পর ফাঁকা সিট নিয়ে গন্তব্যে ছাড়ে অধিকাংশ যানবাহন। রাস্তায় যানজট না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন অনেকে। অল্প সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে স্বস্তি অনুভব করেছেন।

এদিকে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে ঢাকায় ফিরতে শুরু করছেন কর্মজীবীরা। জরুরি কাজ ও যানজটের ভোগান্তি এড়াতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই ফিরেছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিন রাজধানীর কোথাও দেখা যায়নি পরিবহণের দীর্ঘ লাইন। গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, কাকরাইল, বাড্ডা, রামপুরা, কুড়িল বিশ্বরোড, মহাখালী, জাহাঙ্গীরগেট, শেওড়াপাড়া, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। নির্দিষ্ট স্টপেজে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন গণপরিবহণকে। যাত্রী চাপ না থাকায় অধিকাংশ বাসের সিট ফাঁকা দেখা গেছে। এসব সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। যাত্রীর খুব বেশি চাপ দেখা যায়নি মেট্রোরেল, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালেও।

সারা বছর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। ঈদের ছুটিতে সড়ক ফাঁকা থাকায় দায়িত্ব পালনে চাপ কমছে তাদেরও। তবে সড়কে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

নগরবাসী বলছেন, ঢাকায় সারা বছর যানজট থাকে। ওই সময়ে নিরিবিলি ও যানজটমুক্ত নগর দেখার সুযোগ নেই; বরং যানজটে মানুষের বহু কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। এমন বাস্তবতায় ঈদের ছুটিতে চলাচলে শান্তি অনুভব করছেন অনেকে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। তবে কাক্সিক্ষত যাত্রী না পাওয়ার আক্ষেপ পরিবহণ শ্রমিকদের। তারা বলছেন, এবার ঈদের ছুটি বেশি। এই সুযোগে অধিকাংশ মানুষ গ্রামে গেছে। ফলে ঈদের চতুর্থ দিনেও রাস্তায় তেমন যাত্রী নেই। অধিকাংশ আসন ফাঁকা থাকায় তেলের খরচও উঠছে না।

কেরানীগঞ্জ থেকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় আসা ইয়াসিন রহমান যুগান্তরকে বলেন, কুড়িল এলাকায় আমার অফিস। মোটরসাইকেলে অফিসে আসি। অন্য সময় ২ ঘণ্টা বা তারও বেশি লাগত। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) মাত্র ৪০ মিনিটে চলে এসেছি। রাস্তা পুরোপুরি ফাঁকা। কোথাও যানজট চোখে পড়েনি।

যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, প্রতিবছর মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাওয়া হয়। কিন্তু এবার নিজের প্রয়োজনে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় ঈদ করেছি। ঈদের সময় ঢাকার রাস্তা এত ফাঁকা থাকে জানতাম না। রাস্তা ফাঁকা দেখে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ