সর্বশেষ
পর্যাপ্ত সংস্কার ও বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়: গোলাম পরওয়ার
কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওজন কমায় ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় তরমুজ
হৃতিকের চেয়েও নাগা স্মার্ট—সামান্থার মন্তব্যে নেটিজেনরা অবাক
বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ’ ঘোষণা, কঠিন হতে পারে ইউরোপে আশ্রয়
আইপিএলে হঠাৎ ব্যাট মাপা শুরু হলো কেন?
অভিনয় নয়, শিল্পার কোটি কোটি টাকা আসে যে কাজ করে
ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক বোট ক্লাবের সভাপতি হন বেনজীর
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, করুন আবেদন, পদ ১৮৭
বিশ্বকাপের টিকিট পেল পাকিস্তান
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ভারত যাচ্ছেন জেডি ভ্যান্স
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ অবৈধ ৫০৬ শ্রমিক আটক
কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় খোঁজ নিতে সহকর্মীরা গেলেন বাড়িতে, অতঃপর…
মৌসুম শেষ না হতেই পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়লো
জুমার দিন যে আমলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনীদের তালিকায় রেকর্ড সংখ্যক সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিশ্বের ধনকুবেরদের নিয়ে ফোর্বস ম্যাগাজিনের প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ১৫ জন সৌদি ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালে যেখানে তালিকায় ছিলেন মাত্র ১০ জন, সেখানে আট বছর পর আবার ফিরে এসে এবার সংখ্যা দাঁড়াল ১৫–তে। এই তালিকার মাধ্যমে আবারও দেখা গেল, আরব বিশ্বের মধ্যে সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার রয়েছেন।

এই ১৫ জন সৌদি ধনকুবেরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৫.৮ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত; দেশটির ধনকুবেরের সংখ্যা ৫ জন, তাদের সম্মিলিত সম্পদ ২৪.৩ বিলিয়ন ডলার। ৫ জন ধনকুবের নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে মিশর, ২০.৬ বিলিয়ন ডলার তাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ।

এই বছর তালিকায় থাকা ১৫ জন সৌদি বিলিয়নিয়ারের মধ্যে ১৪ জনই নতুন মুখ। তাঁরা মূলত সৌদি স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার থেকে নিজেদের সম্পদ গড়ে তুলেছেন। বিশেষ করে কোভিড-১৯–এর পর থেকে সৌদিতে আইপিও বেড়ে যাওয়ায় এই ধনী ব্যক্তিদের উত্থান ঘটেছে।

তবে পুরনো মুখ হিসেবে তালিকায় ফিরেছেন একমাত্র প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল। তিনি সৌদির সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, একইসঙ্গে আরব বিশ্বেরও সবচেয়ে ধনী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬.৫ বিলিয়ন ডলার। এর প্রায় ৪০ শতাংশ রয়েছে সৌদি স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কিংডম হোল্ডিং কোম্পানিতে। এই কোম্পানি ফোর সিজনস হোটেল চেইন, প্যারিসের জর্জ ফাইভ হোটেল এবং এক সময় এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ইলন মাস্কের সঙ্গে যৌথভাবে অংশীদার ছিল। তিনি সর্বশেষ ফোর্বসের তালিকায় ছিলেন ২০১৭ সালে, তখন তার সম্পদ ছিল ১৮.৭ বিলিয়ন ডলার।

নতুন বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতাল, সুপার শপ, ব্যাংক, মিডিয়া, জিম চেইন, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং শক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তারা।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ড. সুলাইমান আল হাবিব। তিনি একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি ১৯৯৫ সালে রিয়াদভিত্তিক ড. সুলাইমান আল হাবিব মেডিকেল সার্ভিসেস গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২০ সালে তিনি কোম্পানিটি শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত করেন এবং সেখানে তার ৪০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১০.৯ বিলিয়ন ডলার।

তালিকায় পরবর্তী স্থানে রয়েছেন আল মুহাইদিব পরিবারের তিন ভাই– এমাদ, ইসসাম ও সুলাইমান। তাদের সম্পদ যথাক্রমে ৩.৮, ৩.৬ ও ৩.৬ বিলিয়ন ডলার। তারা তাদের প্রয়াত বাবা আবদুলকাদির আল মুহাইদিবের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে বহুমুখী ব্যবসায় পরিণত করেছেন।

শক্তি ও ইউটিলিটি খাতে শীর্ষ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ আবুনাইয়ানের সম্পদ ৩.২ বিলিয়ন ডলার। ব্যাংকিং ও খুচরা খাতে আছেন আবদুল্লাহ আল রাজহি ও আবদুল্লাহ আল ওথাইম, তাদের সম্পদ ২.৫ বিলিয়ন ডলার করে।

অন্যদিকে, দেশের সবচেয়ে বড় ফার্মেসি চেইন ‘আল নাহদি মেডিকেল গ্রুপ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আমের আল নাহদির সম্পদ ২.৩ বিলিয়ন ডলার। মিডিয়া খাতে রয়েছেন এমবিসি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ওয়ালিদ আল-ইব্রাহিম, তার সম্পদ ১.৪ বিলিয়ন ডলার।

বাকি ধনকুবেরদের মধ্যে রয়েছেন আবদুর রহমান সালেহ আল রাজহি অ্যান্ড পার্টনার্সের চেয়ারম্যান খালেদ আবদুর রহমান আল-রাজহি এবং জামজুম ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ মোহাম্মদ জামজুম; দুজনেরই সম্পদ ১.২ বিলিয়ন ডলার করে। ফিটনেস টাইম জিম চেইনের মালিক হামাদ আলি আল-সাগরির আছে ১.১ বিলিয়ন ডলার এবং ফাকিহ কেয়ার চেয়ারম্যান দুই ভাই আম্মার ও মাজেন সোলাইমান ফাকিহ; দুজনের সম্পদ ১ বিলিয়ন ডলার।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ