সর্বশেষ
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে নবীজির পদক্ষেপ
ভূমি আপিল বোর্ডে চাকরির সুযোগ, আবেদন করুন দ্রুত
আমি এখনো বিয়েতে বিশ্বাস করি: শ্রাবন্তী
ইসরাইলি হামলায় একদিনে নিহত আরও ১০০ ফিলিস্তিনি
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৫১৬১৫ হাজি
আজ থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
জ্বর জ্বর ভাব, কিন্তু জ্বর নেই, কেন এমন হয়?
যেসব অভ্যাস আপনার মেধা বাড়িয়ে তুলবে
ফ্লোরাল পোশাকের নানা লুকে আবেদন ছড়াচ্ছেন তারকারা
করোনা ও ডেঙ্গু একসঙ্গে হলে কী করবেন
হোয়াটসঅ্যাপে এআই দিয়ে ছবি বানাবেন যেভাবে
রাত পোশাকেই গ্ল্যামার: ২০২৫-এর স্ট্রিট ফ্যাশনে জায়গা করে নিচ্ছে লাক্সারি স্লিপওয়্যার
নিজের কাজ ফেলে ট্রলি ঠেলে বেড়ান কর্মচারীরা, ব্যবস্থা নেবে দুদক
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে ঐকমত্যের সম্ভাবনা
যেসব প্রশ্ন কখনোই করবেন না চ্যাটজিপিটিকে

‘বিনোদন–দুনিয়ায় টিকে থাকা কঠিন’

অনলাইন ডেস্ক

ভাগ্যশ্রীর মেয়ে অবন্তিকা দাসানি ‘মিথ্যা’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু করেন। দার্জিলিংয়ের স্কুলছাত্রী ‘রিয়া রাজগুরু’র চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই তারকা–কন্যা। পরে তেলেগু সিনেমা ‘নেনু স্টুডেন্ট স্যার’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়। এবার ‘ইন গলিয়োঁ মে’ ছবিতে অভিনয় করে অবন্তিকা বলিউডে যাত্রা শুরু করলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অবন্তিকা জানালেন, তারকার সন্তান হলেও শুরুতে তাঁর ফিল্মি সফর মোটেও মসৃণ ছিল না। এমনকি এখনো টিকে থাকা কিংবা নিজের একটা অবস্থান তৈরির জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। অনেকের ধারণা, ফিল্মি পরিবারের সন্তান মানেই তাঁদের অভিনয়জীবন খুব সহজ। তাঁরা সহজে সবকিছু পেয়ে যান। এসব ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন অবন্তিকা। তাঁর মতে, ভাগ্যই সবকিছু।

এই অভিনেত্রীর ভাষ্যে, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ভাগ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনার ভাগ্য কখনো সহায় হবে, কখনো হবে না। আর এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের এমন কিছু চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়, যা মানুষের বিশ্বাসই হয় না।’ তিনি জোর গলায় বললেন, ‘অনেকেই মনে করেন যে আমাদের মা-বাবা ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন, তাই আমরা সহজেই কাজ পেয়ে যাই। কিন্তু এটা ভুল ধারণা, ভুল! আমি যে কতবার অডিশন দিয়েছি আর কতবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছি, সে সংখ্যা আমার মনেও নেই। আরে, এসব তো প্রতিদিনই আমার জীবনে ঘটতে থাকে। তা সত্ত্বেও আমি আশায় থাকি যে একদিন হয়তো ভালো কোনো কাজ পাব। আর যেখানে আমি দেখাতে পারব যে সত্যি আমার প্রতিভা আছে কি না, নিজেকে প্রমাণ করতে পারব।’

মা ভাগ্যশ্রীর পথ অনুসরণ করে অভিনয়জগতে এসেছেন অবন্তিকা। মায়ের দেওয়া একটা মূল্যবান পরামর্শ সব সময় মনে রাখেন তিনি। ‘মাম্মা একটা কথা সব সময় বলেন, সংলাপ বলার সময় বা কোনো অ্যাকশন করার সময় আমার ভেতরের আবেগ যেন আমার চোখে ফুটে ওঠে। আমার চোখে যদি সেটা ধরা না পড়ে, তাহলে তার কোনো মানেই হয় না। চোখে যেন দৃশ্যের সত্যতা প্রকাশ পায়। মাম্মা আমার অডিশন টেপ করার সময় কখনো কখনো বলেন যে আমার চোখে আবেগ ধরা পড়ছে না, আবার যেন করি। মাম্মার কাছ থেকে পাওয়া এটাই আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষা,’ বললেন অবন্তিকা।

ছোটবেলায় কখনো অভিনেত্রী হতে চাননি অবন্তিকা। লন্ডনে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আর মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। করপোরেট জগতে কাজ করতেন। কিন্তু অবন্তিকার ভেতরে লুকিয়ে থাকা শিল্পীসত্তা তাঁকে সব সময় বিনোদনজগতে টানত। আর তাই করপোরেট জীবন মোটেও উপভোগ করতেন না তিনি।

অবন্তিকা বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাকে সবাই বলতেন যে আমি অভিনয়ই করব। আর এ কথা শুনে আমি খুব বিরক্ত হতাম। আমি চাইতাম না যে আমাকে একটা বাক্সে বন্দী করা হোক। তাই অভিনয় থেকে দূরে পালাতাম। কিন্তু আমি আমার চাকরিজীবন মোটেও উপভোগ করছিলাম না। অভিনয়ের প্রতি এক টান আমি অনুভব করতে শুরু করলাম। তাই আমি অভিনয়ের ওয়ার্কশপ করা শুরু করি। আর অভিনয়ের প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়।’

গত ১৪ মার্চ মুক্তি পাওয়া ‘ইন গলিয়োঁ মে’ সিনেমাটি লক্ষ্ণৌ শহরের পটভূমিতে নির্মিত। এ সিনেমায় ভিভান শাহ ও অবন্তিকা দাসানি দুই সবজি বিক্রেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

বিনোদন ডেস্ক

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ