সর্বশেষ
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন
‘শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় দ্রুতই শ্রম আইনে সংশোধন আনা হবে’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
টঙ্গীতে শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার ৭, ছাঁটাই আরও ৭৫
টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বিসিবি নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা ফারুকের
নোয়াখালীতে বিস্ফোরক মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নতুন নোটে থাকছে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি, আসছে কবে?
ফ্লপের মুখে ইমরান হাসমির ‘গ্রাউন্ড জিরো’, ‘কেশরী ২’-র কি হাল?
টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরাও পাবেন উচ্চতর গ্রেড
হজযাত্রীদের পদচারণায় মুখর ক্যাম্প
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৫১ ফিলিস্তিনি
রোনালদোর আল নাসর কেন নেই ক্লাব বিশ্বকাপে
অনির্বাচিত সরকারের করিডোর দেওয়ার এখতিয়ার নেই: বিএনপি

পরীক্ষার কক্ষে তোমার করণীয় ৭টি টিপস

অনলাইন ডেস্ক

এসএসসি পরীক্ষার কক্ষে কী করবে কী করবে না তুমি জেনে নাও। এতে তোমার পরীক্ষার সময় অনেক সহায়ক হবে।

কোনো দুশ্চিন্তা নয়

পরীক্ষার কক্ষে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবে। দুশ্চিন্তা ভালো পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। অনেক শিক্ষার্থী অতিরিক্ত টেনশনের কারণে অনেক জানা প্রশ্নের উত্তরও সঠিকভাবে করতে পারে না। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রশ্নপত্রে মনোযোগ দিতে হবে।

প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর যা করবে
প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর পুরো প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে। কোনো প্রশ্ন আংশিক পরিবর্তন করে দেওয়া হলো কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র দেখে মনে মনে পুরো পরীক্ষার পরিকল্পনা করবে। তুমি কীভাবে শুরু করবে এবং কীভাবে শেষ করবে, তার ছক করে নিলে পরীক্ষা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

সময় বণ্টন করে নাও

প্রশ্নের মান অর্থাৎ নম্বর অনুযায়ী কতটুকু লিখতে হবে, তা নির্ধারণ করেই লেখা শুরু করতে হবে। শুরুর প্রশ্নগুলো যতটা সম্ভব ভালো করে দেওয়া উচিত, তবে তা হতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। একটি রচনামূলক প্রশ্নের বা সৃজনশীল প্রশ্নের জন্য সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময়ের মধ্যে লেখা শেষ করতে হবে।

প্রশ্ন নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ
যেসব প্রশ্নের উত্তর ভালো জানা আছে, সেগুলো আগে লেখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। পরীক্ষক যখন খাতা মূল্যায়ন করবেন, তখন শুরুতেই লেখার মান ভালো দেখলে শিক্ষার্থীর প্রতি ইতিবাচক ধারণা পাবেন। এতে ওই বিষয়ে ভালো নম্বর পাওয়া সহজ হবে। তুলনামূলক সহজ ও জানা প্রশ্নের উত্তর পর্যায়ক্রমে লেখাই ভালো।

উত্তরপত্র পরিচ্ছন্ন হতে হবে
পরীক্ষার খাতায় ওভাররাইটিং, কাটাছেঁড়া, অস্পষ্ট লেখা পরিহার করতে হবে। লেখায় কোনো ভুল হলে এক টানে কেটে দিতে হবে।
লেখার ভাষা সহজ-সরল ও প্রাঞ্জল হওয়া উচিত। গণিত,ভূগোল, জীববিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন চিহ্ন ও চিত্র স্পষ্ট করে আকঁবে। একটি প্রশ্নের উত্তর লেখা শেষ হলে পরের পৃষ্ঠায় প্রশ্নের উত্তর শুরু করবে। এ ছাড়া প্রশ্নের উত্তরে ধারাবাহিকতা ভালো ফলের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।

লেখা অযথা বড় করবে না
বেশি লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়, এটি একটি ভুল ধারণা। অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক লিখে উত্তর বড় করবে না । অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখে খাতা ভরলে সময় নষ্ট হবে, বেশি নম্বর কিন্তু পাওয়া যাবে না। অনেকেই কয়েক লাইনে এক পৃষ্ঠা শেষ করে পরবর্তী পৃষ্ঠায় লেখা শুরু করে। এতে পরীক্ষকরা বিরক্ত হন। মনে রেখো, প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ উত্তরেই কিন্তু বেশি নম্বর পাওয়া যায়।

লেখার শেষে রিভিশন

পরীক্ষার শেষে খাতা রিভিশনের জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় রাখবে। এ সময় সবার আগে লক্ষ করবে প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরপত্রে লেখা ক্রমিকের মিল আছে কি না। প্রশ্নের কোনো অংশের ক্রমিকও (যেমন ‘ক’ বা ‘খ’) ঠিকমতো লেখা হয়েছে কি না, দেখতে হবে। ক্রমিক নম্বর ভুল হলে কিন্তু পরীক্ষক নম্বর দেওয়ার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরের মধ্যে মিল পাবে না। এ ছাড়া কোথাও কোনো ভুল আছে কি না বা কোনো প্রশ্ন বাদ পড়ল কি না, মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে।

মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ