নদীপাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মে মাসে। সেই বছরের সেপ্টেম্বরেই কাজ শেষ হওয়া কথা ছিল। তবে এখনো সেই কাজ শেষ হয়নি। চলতি বছরেও কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে সন্দীহান স্থানীয়রা।
এতে করে নদীপাড়ের মানুষদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাঁধের কাজ শেষ না হলে আগামী বর্ষায় প্রবল আকারে নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে ২০২২ সালের মে মাসে লৌহজং উপজেলার খিদিড়পাড়া থেকে টঙ্গীবাড়ী দীঘিরপাড় বাজার পর্যন্ত পদ্মার তীরের ৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার অংশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪৪৬ কোটি টাকা।
কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েকটি ভাগে বাঁধ নির্মাণের কাজের দায়িত্ব পায়। তাদের মধ্যে সিগমা ইঞ্জিনিয়ারিং পায় দীঘিরপাড় অংশের এক কিলোমিটারের কাজ। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তিন বছরেও কাজ শেষ হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, কচ্ছপ গতিতে চলছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। এতে বর্ষা মৌসুমে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দুটি বাজারসহ কয়েকশ পরিবারের বসত ঘর। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় ঐতিহ্যবাহী হাসাইল-দিঘীরপাড় বাজারে বেশ কিছু দোকান, ফসলি জমিসহ বসতভিটা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন মিয়া বলেন, যেভাবে কাজ চলছে তাতে চলতি বছরেও বাঁধ নির্মাণ শেষ হবে না। এবারও ভাঙনে নিঃস্ব হবে অনেক পরিবার। তাদের তো কিছু হবে না।
মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেকু দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তারা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জেলা পাউবোর প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ভাঙনের ফলে বাঁধের নকশায় কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই নির্মাণ কাজের সময় বাড়ানো হয়। এ বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’