সর্বশেষ
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সুখবর পেতে যাচ্ছেন!
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না : মির্জা ফখরুল
একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা বিকেলে
এআই সাংবাদিকতার স্থান নিতে পারবে না: ইতালীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ
চা-বাগান জ্বলছে খরায় 
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না, সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বিসিআইসিতে বিশাল নিয়োগ, আবেদন করুন দ্রুত
উর্বশীর বিস্ময়কর দাবিতে রেগে গেলেন পুরোহিতরা

তৈজসপত্রে দেশীয় ধারা তুলে ধরা হচ্ছে যেভাবে

অনলাইন ডেস্ক

পয়লা বৈশাখের আয়োজনে মাটির সানকিতে পান্তা খাওয়ার চল অনেক দিনের। দিনে দিনে এই আয়োজনে যুক্ত হয়েছে অনেক কিছু। এখন শুধু মাটি দিয়েই নয়; কাঠ, স্টিল, বেত, বাঁশ বা টিন দিয়েও তৈরি হচ্ছে তৈজস। এতে বিভিন্ন আঙ্গিকে থাকছে দেশজ মোটিফের ব্যবহার।

যদিও রিকশা পেইন্টিংয়ের ব্যবহার শুরু হয় পোশাক আর আসবাবে, তবে এখন বিভিন্ন তৈজসপত্র রাঙানো হচ্ছে রিকশা পেইন্টিংয়ে। প্লেট, কেটলি, চায়ের কাপ, ট্রে, গ্লাস, টিফিন বাটি তো আছেই। আরও আছে মুড়ির টিন, চা–কফির বয়ামের মতো অনুষঙ্গ। তৈজসে রিকশা পেইন্টিংয়ের কাজ করছেন শিমুল মজলিশ। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম রূপবান। বলছিলেন, হারিকেনের ওপর রিকশা পেইন্টিংয়ের কাজ শুরু করেন। এরপর ক্রেতাদের কাছ থেকেই হাঁড়ি, পাতিল, প্লেট, গ্লাস রাঙানোর ফরমাশ আসতে থাকে। সেই থেকে শুরু। সম্প্রতি তাঁদের রিকশা পেইন্টিংয়ের মুড়ির টিন বেশ ভাইরাল হয়। এর পেছনে এক মজার গল্প শোনালেন শিমুল। বলছিলেন, ছোটবেলায় নানুবাড়িতে বেড়াতে গেলে দেখতেন ভাঙারিওয়ালারা তাঁদের টিনে হাওয়াই মিঠাই বা কটকটি বিক্রি করছেন। পুরোনো ভাঙা জিনিসের বিনিময়ে সেগুলো কিনে খাওয়া হতো। সেই টিনের বাক্স ছোটবেলায় শিমুলকে বেশ টানত। এই ভাবনারই প্রতিফলন রিকশা পেইন্টের মুড়ির টিন। রূপবান ছাড়াও ফিনারী, বিস্কুট ফ্যাক্টরি, যাত্রার মতো প্রতিষ্ঠানও তৈরি করছে রিকশা পেইন্টের তৈজস।

কাঠের বাসনকোসন নিয়েও কাজ হচ্ছে বিস্তর। সেখানেও প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় উপকরণ। তাতে যুক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ধারার নকশা। কাঠের তৈজসপত্র নিয়ে কাজ করছে ইকিগাই। সেগুন, গামারি, গর্জন কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাসন। কাঠের প্লেট, বাটি, চামচ, হাতা—কী নেই। এসব তৈজসের আকারগুলোতেও আছে বেশ বৈচিত্র্য। তবে কাঠের তৈজস ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। যেমন ঝোলজাতীয় জিনিস কাঠের বাসনে পরিবেশন না করাই ভালো। এতে কাঠের বাসনের খাঁজে খাঁজে মসলা ঢুকে থাকে। ভালো করে ধোয়ার পরও তা যায় না। পরে খাবার পরিবেশনের সময় সেই তৈজস থেকে আসে বিকট গন্ধ। যে কারণে শুধু শুকনো খাবার পরিবেশনের সময় কাঠের তৈজস বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন ইকিগাইয়ের উদ্যোক্তারা।

তবে এত বৈচিত্র্যময় দেশীয় তৈজসের ভিড়ে কিন্তু হারিয়ে যায়নি মাটির বাসনকোসনের চাহিদা। আদি নকশার মাটির তৈজস যেমন আছে, তেমনি বাঁশ, বেত যুক্ত করে সেখানেও আনা হচ্ছে ভিন্নতা। মাটির সঙ্গে বাঁশের সংমিশ্রণের ভিন্নধর্মী তৈজস তৈরি করছে ভূমি আর্টিসান। এর স্বত্বাধিকারী স্থপতি জান্নাতুল ফেরদৌস বলছিলেন, খুব একটা বৈচিত্র্য না থাকায় মাটির বাসনকোসনের প্রতি মানুষের আগ্রহ কিছুটা কম থাকে। স্থাপত্যবিদ্যায় পড়াশোনার কারণে দেশ–বিদেশের ক্র্যাফট পণ্য নিয়ে জান্নাতুল অনেক তথ্যই জেনেছেন। ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোতে মাটি দিয়ে বেশ ভালো মানের পণ্যের কাজ হয়। তিনিও দেশীয়ভাবে সেই প্রযুক্তি দিয়ে কাজ শুরু করেন। যে কারণে ভূমি আর্টিসানের পণ্যের ফিনিশিং একটু অন্য রকম হয়। সঙ্গে বেত যুক্ত করে তিনি এনেছেন ফিউশন, যা ক্রেতারা সাদরে গ্রহণ করছেন। ‘আসলে দেশীয় উপকরণে দেশি তৈরি পণ্যে যাতে আন্তর্জাতিক মান দেওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়েই কাজ করছি।’ তিনি মনে করেন, এতে একজন ডিজাইনারের চেয়ে কারিগরের অবদানটাই বেশি থাকে।

ঐতিহ্যবাহী মাটির বাসনকোসন পাত্র শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, বরং এর রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও। মাটির পাত্রে পানি রাখলে পানিতে হরেক রকমের খনিজ পদার্থ মেশে। ফলে দেহে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলোর অভাব হয় না। ভালো থাকে বিপাকপ্রক্রিয়া।

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ