জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কার্যক্রমের গতিশীলতা ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ৬ দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে এনসিপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পিএসসির কাছে এ স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়। এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনয়নে এনসিপি’র দাবিগুলো:
১. প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নাম্বারসহ ফলাফল, কাট মার্কস ও সঠিক উত্তর পিএসসি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
২. লিখিত পরীক্ষার ফলাফল নাম্বারসহ ওয়েবসাইটে ভাইভার পূর্বেই প্রকাশ করতে হবে।
৩. লিখিত ফলাফল ঘোষণার পর ভাইভার আগে ক্যাডার চয়েস রিশাফল করার অপশন দিতে হবে।
৪. ১০০ নম্বরের ভাইভা ৪৫ তম বিসিএস থেকেই কার্যকর করতে হবে এবং স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে চূড়ান্ত রেজাল্টের সাথে ভাইভার নাম্বারও প্রকাশ করতে হবে।
৫. ৩৮ তম পর্যন্ত বিসিএসগুলির ন্যায় নন-ক্যাডার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে। ভাইভাতে উত্তীর্ণদের থেকে ননক্যাডারে সর্বোচ্চ নিয়োগ দিতে হবে।
৬. একবছরের মধ্যে একটি বিসিএস’এর সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং সার্কুলারে প্রিলি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করতে হবে।
এনসিপি বলেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক ভিত্তি ছিলো বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় কোটাব্যবস্থা, নানা রকম অনিয়ম, বৈষম্য ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পাওয়া নতুন বাংলাদেশে বিসিএসসহ সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা রক্ষায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিশেষ করে পিএসসি একটি পরীক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হবে। অভ্যুত্থানপরবর্তী পিএসসির গৃহীত ইতিবাচক পদক্ষেপ ও আন্তরিকতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
চলমান বিসিএসগুলির জট নিরসনে এনসিপি’র দাবি:
৪৪ তম বিসিএস: জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ৪৪ তম বিসিএসের সকল ভাইভা সম্পন্ন করে ৩০ জুনের মধ্যে ৪৪ তম এর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে।
৪৫ তম বিসিএস: ৪৫ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল জুনের ৩০ তারিখের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যেই ৪৫ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল সম্পন্ন করতে হবে।
৪৬ তম বিসিএস: জুনের শেষ সপ্তাহ অথবা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ৪৬ তম বিসিএসের লিখিত শুরু করতে হবে। এই সময়কালের মধ্যে সম্ভব না হলে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষা শুরু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি গ্রহণ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় বিসিএস লিখিত ও ভাইভার মধ্যে ন্যূনতম গ্যাপ থাকা বাঞ্ছনীয়।
৪৭ তম বিসিএস: ৪৬ তম লিখিত পরীক্ষা সম্পন্নের পর একমাসের মধ্যে ৪৭ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিতে হবে।