ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোড্ডা এলাকায় ট্রেন থামিয়ে ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) থেকে তেল চুরির অভিযোগে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও পরিচালকসহ মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের সহকারী কমান্ড্যান্ট মো. ফিরোজ আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গত ৭ এপ্রিল রাত ১২টা ১৫ মিনিটে ৬০৩ নম্বর কনটেইনার ট্রেনটি অনির্ধারিতভাবে কোড্ডা এলাকায় দাঁড়ায়, যেখানে ইঞ্জিন থেকে তেল নামানো হচ্ছিল। পুলিশ অভিযান চালালে ট্রেনটি হঠাৎ চালু করে দেওয়া হয়, যদিও সে সময় সবুজ সংকেত (গ্রীন সিগন্যাল) চালু ছিল।
অভিযানের সময় পুলিশ দুটি ড্রামে মোট ২১০ লিটার চোরাই ডিজেল, একটি বড় পাতিল ও একটি বাঁশ উদ্ধার করে।
চালক মো. নাসির উদ্দিন, সহকারী চালক আব্দুর রাজ্জাক, ট্রেন পরিচালক ওমর ফারুক, এবং স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ ওরফে জাফর, কাজী রতন, মুরাদ মিয়া, ইসহাক মিয়া ও শামীম মিয়া।
চালক নাসির উদ্দিন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “লাল বাতি থাকার কারণে ট্রেন থামানো হয়েছিল। সবুজ সংকেত পেয়ে ট্রেন চালানো হয়। তেল চুরির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।”
পুলিশ বলছে, ঘটনাটি ‘ওপেন সিক্রেট’ ছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ট্রেন থামিয়ে তেল চুরি বহুদিনের পরিচিত ঘটনা।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, “তেল চুরির ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। চোরাই ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করা হয়েছে।”