সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। তবে ব্যায়াম করার আগে ভারী খাবার গ্রহণ করতে নিষেধ করেন প্রশিক্ষকেরা।
ব্যায়ামের ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা আগে হালকা খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভালো। সময় বেশি থাকলে একটু ভারী খাবার, আর সময় কম থাকলে হালকা কিছু বেছে নিন।
কী খাবেন?
ব্যায়ামের আগে-পরে যেসব খাবার গ্রহণ করবেন সেসব খাবারে যেন প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ঠিক মাত্রায় থাকে। কারণ ব্যায়াম করার সময় শক্তি ক্ষয় হয়, তাই এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরের শক্তির জোগান দিতে পারে এবং ক্যালোরিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। যা খাবেন-
১. কার্বোহাইড্রেট (শক্তির উৎস):
কার্বো শরীরকে শক্তি দেয়। ব্যায়ামে স্ট্যামিনা বাড়াতে এটা দরকার।
কলা
ওটস (দুধ বা দই দিয়ে)
পুরো শস্যের পাউরুটি
ফল (আপেল, আম, খেজুর)
২. প্রোটিন (পেশি মজবুত রাখে):
ব্যায়ামের সময় পেশির ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। যেমন-
ডিম (সিদ্ধ বা পোচ)
গ্রিক দই বা টকদই
বাদাম বা চিনাবাদাম বাটার
প্রোটিন শেক (যদি আপনি এটা রেগুলার খান)
৩. হালকা ফ্যাট (কম পরিমাণে):
বাদাম
অ্যাভোকাডো
অলিভ অয়েল দিয়ে টোস্ট
* পানি
ব্যায়ামের আগে প্রচুর পানি পান করতে ভুলবেন না। হাইড্রেটেড থাকলে পারফরম্যান্স ভালো হয়।
ব্যায়ামের আগে কয়েকটি প্যাকেজ খাবারের উদাহরণ:
কলা + চিনাবাদাম বাটার
ওটস + দুধ + কিছু ফল
সিদ্ধ ডিম + একটা টোস্ট
দই + কলা বা বেরি
অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে শরীরচর্চা করার সময় অনেকে এনার্জি ড্রিঙ্কস পান করে থাকেন। এতে শরীর দ্রুত শক্তি পায়। তবে এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্যায়াম করার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে খাবার গ্রহণ করতে হবে। এতে ক্যালোরি বেশি ঝরানো সম্ভব।
ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’- এর গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ব্যায়াম করার আগে ছোলাসিদ্ধ বা বাদাম খাওয়া ভালো। এ ছাড়া খেজুর খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। যা পেশির শক্তি জোগাবে। খেজুর পেশিকে নমনীয় রাখতে পারে।
খেজুরের মধ্যে ‘ডেগলেট নূর; জাতের খেজুর সবচেয়ে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে। এই খেজুর মিষ্টি কম থাকায়, ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন। পাশাপাশি, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমবে। শরীরচর্চার পরে যে ক্লান্তি ও ঝিমুনি ভাব আছে, তা দূর করতেও সাহায্য করবে ডেগলেট খেজুর।