এ যেন শাঁখের করাত! এগোলেও সমস্যা, পিছলেও সমস্যা। এক মারণ রোগ থেকে বাঁচতে গিয়ে আরেক মারণ রোগের শিকার। শারীরিক চাহিদার কারণেই যৌন মিলনে লিপ্ত মানুষ। আবার অবাঞ্চিত গর্ভাবস্থা এড়াতে কন্ডোম ব্যবহারের কথা বলে খোদ সরকার। যৌন সংক্রমণ জনিত রোগ এমন এইডস বা এইচআইভি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ কন্ডোম। যৌন মিলনের সময় তাই কন্ডোম ব্যবহারের গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি হঠাৎ শোনেন সেই কন্ডোম ব্যবহার বাড়াচ্ছে আরেক মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, তা হলে! সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে এক গবেষণায়।
কন্ডোম তৈরির সময় ব্যবহার করা হয়,পিএফএএস নামে এক ধরনের রাসায়নিক। আর সেখানেই যত সমস্যা। বেশ কয়েকটি পরিচিত ব্র্যান্ডের কন্ডোম এবং লুব্রিকেন্ট তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় এই বিশেষ রাসায়নিক।
জানা গিয়েছে ট্রোজান আলট্রা থিন কন্ডোম এবং কে ওয়াই জেলি ক্লাসিক ওয়াটারের মতো লুব্রিকেন্ট সহ নানা প্রজনন স্বাস্থ্য পণ্যতে পিএফএএস রয়েছে।
এই পিএফএএস হল ১৫,০০০ সিনথেটিক রাসায়নিকের একটি গ্রুপ যা যে কোনও জিনিসকে জল, দাগ এবং তাপ থেকে রক্ষা করে। এই পিএফএএস দ্বারা তৈরি করা কোনও জিনিস সহজে নষ্ট হয় না বলেও খবর। তবে এই রাসায়নিক শরীরে ক্যানসার, থাইরয়েডের সমস্যা সহ লিভারের ক্ষতি করে। আরও নানা সমস্যার কারণ হতে পারে এই রাসায়নিক।
গবেষণা বলছে, পিএফএএস নামক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি পণ্য শরীরের সংবেদনশীল স্থানগুলির সরাসরি সংস্পর্শে এলে সেই ঝুঁকি আরও বাড়ে। বিশেষ করে এই রাসায়নিক কার্ডিও ভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কেবল তাই নয় এই রাসায়নিক কিডনি ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এমনকি জীনের মাধ্যমে এই রাসায়নিক পরবর্তী প্রজন্মের শরীরেও সঞ্চারিত হয়।
ক্যানসার বা প্রজজন জনিত সমস্যা এড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যে বিশেষ করে কন্ডোম এবং লুব্রিকেন্টে এই পিএফএএসের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।