এই গরমে একটি এমন উপকরণ যোগ করা যায়, যা আমরা সচরাচর পান্তার সঙ্গে খাই না। আর এতেই পান্তাভাতের স্বাদ ও প্রোবায়োটিক গুণ বেড়ে যাবে বহুগুণে।
পয়লা বৈশাখে পান্তা খাওয়ার চল এখন বেশ সমাদৃত৷ তবে এই গরমে এর সঙ্গে একটি এমন উপকরণ যোগ করা যায় যা আমরা সচরাচর পান্তার সঙ্গে খাই না। আর এতেই পান্তাভাতের স্বাদ ও পুষ্টি বেড়ে যাবে বহুগুণে।
উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এভাবে পান্তা খাওয়া হয়। প্রোবায়োটিক গুণ অনেক বেড়ে যায় বলে এভাবে পান্তাভাত খাওয়া এখন খুবই ট্রেন্ডে আছে।
উপকরণ
রান্না করা ভাত দেড় কাপ
তাজা দই এক কাপ
পেঁয়াজ কুচি এক কাপ
কাঁচামরিচ ৫ টি
শুকনা মরিচ ৪ টি
চিনাবাদাম আধা কাপ
ধনেপাতা কুচি আধা কাপ
জিরা ১ চা চামচ
কালো শর্ষে ১ চা চামচ
লবণ স্বাদমতো
শর্ষের তেল ১ টেবিল চামচ
প্রণালি
রান্না করা তাজা ভাত ঠান্ডা করে একটি পাত্রে নিয়ে দুই কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারা রাত। পরের দিন সকালে পাত্রের ভাত হাত দিয়ে সামান্য চটকে নিয়ে তাতে কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, পেঁয়াজ, দই ও লবণ দিয়ে মেখে নিতে হবে। ভাতের পানি ফেলা যাবে না। এরপর এর মধ্যে স্পেশাল একটি ফোড়ন দিতে হবে।
ফোড়নের জন্য কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে আস্ত মরিচ, জিরা, শর্ষে, চিনাবাদাম ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে নাড়াচাড়া করে হালকা বাদামী বর্ণের হলে মেখে রাখা দইপান্তায় ঢেলে দিতে চামচ দিয়ে নেড়ে পরিবেশন করতে হবে। এই দই পান্তা এমনি খেতেই খুব সুস্বাদু। আমাদের শরীরের জন্য এটি খুব ঠান্ডা একটি খাবার। দই আর সারারাত ভেজানো পান্তা দুটিই খুব কার্যকর প্রোবায়োটিক বলে এ দুইয়ের সমন্বয়ে দইপান্তা হয়ে ওঠে সাধারণ পান্তাভাতের চেয়ে আরো অনেক পুষ্টিকর।