রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গাজা থেকে মুক্তি পাওয়া রুশ নাগরিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর তারা সেখানে আটক হন। পুতিন বলেন, দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান ও হামাসের রাজনৈতিক শাখার সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্কের ফলেই এই মুক্তি সম্ভব হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ এপ্রিল) পুতিন মুক্তিপ্রাপ্ত আলেকজান্ডার ত্রুফানভ এবং তার পরিবারের সদস্যদের বলেন, ‘আপনাদের মুক্তি রাশিয়ার বহু বছরের ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্কের ফল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হামাসের নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক শাখার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, কারণ তারা মানবিক বিবেচনায় এই কাজটি করেছে।’
পুতিন আরও জানান, রাশিয়া ‘আসলেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে’ ত্রুফানভকে মুক্ত করতে এবং যারা এখনও বন্দী, তাদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ত্রুফানভ প্রায় ৫০০ দিন বন্দি থাকার পর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির আলোচনার অংশ হিসেবে মুক্তি পান। তিনি পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাকি বন্দিদের মুক্তিরও আশা রাখেন তিনি, যাদের তিনি ‘ভাইয়ের মতো’ মনে করেন।
ত্রুফানভের মা এলেনা ও তার বাগদত্তা সাপির কোহেনকেও পুতিন ফুল উপহার দেন। তারা হামাসের হাতে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে আটক হয়েছিলেন এবং পরে মুক্তি পান। ত্রুফানভের দাদি একইভাবে মুক্তি পেলেও তার বাবা হামলায় নিহত হন।
এই সাক্ষাতে রাশিয়ার প্রধান রাব্বি ও রাশিয়ান ইহুদি সম্প্রদায়ের ফেডারেশনের প্রধানও উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়া বলে আসছে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কেবলমাত্র দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতেই সম্ভব। দেশটি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ের সঙ্গেই কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে।