জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে বৈষম্যহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন, চীনা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপন করতে হবে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পঞ্চগড় জেলা সমিতি ঢাকা আয়োজিত ‘চীনের অর্থায়নে নির্মিতব্য ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে’ মানববন্ধনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, ঢাকা থেকে সবচেয়ে দূরের জেলা পঞ্চগড়। এই কারণে সম্ভবত পঞ্চগড়ের মানুষের আর্তনাদ আপনাদের কানে পৌঁছায় না। আপনারা ঢাকায় বসে অনুভব করতে পারবেন না, পঞ্চগড়ের ১২ লক্ষ মানুষের জন্য শুধুমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এর পরের চিকিৎসার জন্য পারি দিতে হয় রংপুর অথবা দিনাজপুর। পথেই অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
রাশেদ বলেন, আমরা পঞ্চগড়ের মানুষ রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে আর মৃত্যুবরণ করতে চাই না, চিকিৎসা নিয়ে নিজ মাটি পঞ্চগড়ে মৃত্যুবরণ করতে চাই। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে পঞ্চগড়ের অনেক এমপি – মন্ত্রী – স্পিকার দেখেছি, অনেক সরকার বাহাদুর দেখেছি। একটা উন্নত হাসপাতাল দেখি নাই। তাই ৫ আগস্ট এর পরের বৈষম্যহীন বাংলাদেশে বৈষম্যহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন, চীনা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে চীনের রাষ্ট্রদূত ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন পঞ্চগড়ে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চীনা সরকারের সহযোগিতায় হাসপাতালে আপত্তি তোলে ভারত সরকার।
রাশেদ প্রধান বলেন, ভারত সরকারকে খুশি করতে হাসপাতালটির কাজ বন্ধ করে দেয় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। তাহলে এখন চীনা সরকারের উপহার হাসপাতাল স্থাপনের জন্য পঞ্চগড়কে বাদ দিয়ে উত্তরবঙ্গের নতুন স্থান কেন খোঁজ করা হচ্ছে? আন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আমাদের পঞ্চগড়ের মানুষকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করবেন না। উত্তর বঙ্গের অবহেলিত জেলা পঞ্চগড়ের মানুষের সঠিক এবং ন্যায্য দাবি মেনে নিন।
পঞ্চগড় জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ ড. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ঢাকায় অবস্থানরত পঞ্চগড় জেলা সমিতি ঢাকার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।