আয়াতের অর্থ : ‘রাসুল বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করে। আল্লাহ বলেন, এভাবেই প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছিলাম আমি অপরাধীদেরকে। তোমার জন্য তোমার প্রতিপালকই পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।…তারা তোমার কাছে এমন কোনো সমস্যার উপস্থিত করে না, যার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি।
যাদেরকে মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্র করা হবে, তারা স্থানের দিক থেকে অতি নিকৃষ্ট এবং অধিক পথভ্রষ্ট।’ (সুরা : ফোরকান, আয়াত : ৩০-৩৪)
আয়াতগুলোতে কোরআনের ব্যাপারে অবিশ্বাসীদের আপত্তির উত্তর দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. কোনো জাতি-গোষ্ঠীর দুর্ভাগ্য ও ধ্বংসের জন্য কোরআন পরিত্যাগই যথেষ্ট।
২. কোরআন অস্বীকার করা যেমন কুফরি, তেমনি একে বিশ্বাস করে কার্যত পরিত্যাগ করাও মহাপাপ।
এতে কোরআনের প্রতি উদাসীনতা ও কোরআনের সম্মানহানি হয়।
৩. আল্লাহ তাঁর পথের পথিকদের সাহায্যের জন্য যথেষ্ট। তবে তিনি স্বীয় জ্ঞান ও প্রজ্ঞার আলোকে উপযুক্ত সময়ে সাহায্য করেন।
৪. ২৩ বছরে ধীরে ধীরে কোরআন অবতীর্ণ হওয়ায় তা মুখস্থ করা, বোঝা এবং তার ওপর আমল করা সহজ হয়েছে।
৫. প্রতিকূল সময়ে অন্তরে প্রশান্তি পেতে মুমিন কোরআন তিলাওয়াত করবে। কেননা আল্লাহ কোরআন নাজিল করে নবীজি (সা.)-এর হৃদয়কে প্রশান্ত করতেন। (বুরহানুল কুরআন : ২/৬১৫)
সূত্র: কালের কণ্ঠ