সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আজমীর হোসেন বিপুল (৪০) নামের এক যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃতের পরিবারের দাবি, বাড়ি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ও নদীপাড়ে মাচালপাতাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাক হত্যা করেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের রামবাড়ি মহল্লায় ঘটনা ঘটে।
মৃত বিপুল রামবাড়ি মহল্লার মৃত মাজেদ শেখের ছেলে। তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে।
মৃতের বড়ভাই নুরুজ্জামান জানান, বাড়ি নিয়ে পূর্ব বিরোধ ও বাড়ির সামনের নদীপাড়ে বাঁশের মাচালপাতাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মোকছেদ আলী ওরফে বগা মেম্বারের ছেলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ঝামেলা ছিল বিপুলের। শুক্রবার রাতে শহিদুলের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিপুলের ওপর হামলা চালায়। তারা বাড়ির গেটের সামনেই বিপুলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির ভেতর থেকে ছুটে আসেন ভাই নুরুজ্জামান, তার ছেলে আরফিন, মা নবীয়া খাতুন, বিপুলের স্ত্রী আমিনা খাতুন ও ছেলে আরমান। তাদেরও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে তারা চলে গেলে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে বিপুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিপুল মারা যান।
বিপুলের স্ত্রী আমিনা খাতুন বলেন, ‘স্বামীর চিৎকারে বাহিরে গিয়ে দেখি, খুনিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছে। আমরা ঠেকানোর চেষ্টা করলে তারা আমাদেরও মারধর করে। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
বিপুলের মা নবীয়া খাতুন বলেন, ‘আমি ছুটে গিয়ে সবার হাতে-পায়ে ধরেছি। তারা আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে ফেলে দিয়েছে। আমি আবার ছুটে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরেছি। তারা আমার চোখের সামনেই আমার ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে চলে গেল। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি আসলাম আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের একটি দল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ সদর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘নিহত বিপুল যুবদলের একজন কর্মী ছিল। প্রতিপক্ষের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে শহিদুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
সূত্র: যুগান্তর