সর্বশেষ
পলাশবাড়ীতে চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালো ৩ বছরের শিশু
সাঘাটা সমাজসেবা কর্মকর্তার অনিনয়ম-দুর্নীতির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও  স্বারক লিপি প্রদান
চীনা হাসপাতাল নির্মাণ দাবি সাদুল্লাপুরবাসীর
বান্ধবীকে বিয়ে করলেন নায়িকা
দ্বিতীয় দিন শেষে ২৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
চীনের ক্ষতি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করলে তার বিরোধিতা করব, হুঁশিয়ারি চীনের 
শেরপুরে দুই’শ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
গরমে চোখ-মুখ ফোলাভাব কমাতে যা করতে পারেন
সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ
পারভেজ হত্যায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ঢাবি ছাত্রদলের
‘আমার বাবার কোনো কবর নেই, চার বছর ধরে লাশের খোঁজে আছি’
আল্লামা ইকবাল, মুসলিম জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা একসূত্রে গাঁথা
ফ্রান্সিস, যিনি বদলে দিয়েছিলেন ক্যাথলিক চার্চকে
৩৩ বছরে কতজনকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি, জানতে চান হাইকোর্ট
গোপন সামরিক তথ্য শেয়ার, ফের বিতর্কের মুখে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

যেসব আমলে জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়

অনলাইন ডেস্ক

যেসব আমলে মুমিনের ওপর জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যায়, তার একটি হলো নামাজ। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, হানযালা আল-উসাইদি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পূর্ণরূপে অজু করতঃ রুকু ও সেজদা যথাযথভাবে করে সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে যত্নবান হয়, নামাজকে আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া একান্ত ফরজ দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করে, তার ওপর জাহান্নামের আগুনকে হারাম করে দেওয়া হয়। (মুসনদে আহমদ)

শুধু ফরজ নামাজই নয়, সুন্নতে মুয়াক্কাদা ও নফল নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হলেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা আছে। উম্মে হাবিবা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে জোহরের আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, তার জন্য জাহান্নাম হারাম করা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৬৯)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, …কিয়ামতের দিন জাহান্নামিদের থেকে যাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা রহমত করতে ইচ্ছা করবেন, তাদের ব্যাপারে ফেরেশতাদের নির্দেশ দেবেন যে, যারা আল্লাহর ইবাদত করতো, তাদের যেন জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হয়। ফেরেশতারা তাদের বের করে আনবেন এবং সিজদার চিহ্ন দেখে তাঁরা তাদের চিনতে পারবেন। কেননা, আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের জন্য সিজদার চিহ্নগুলো মিটিয়ে দেওয়া হারাম করে দিয়েছেন।

ফলে তাদের জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। কাজেই সিজদার চিহ্ন ছাড়া আগুন বনি আদমের সব কিছুই গ্রাস করে ফেলবে। অবশেষে, তাদেরকে অঙ্গারে পরিণত অবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। তাদের উপর ‘আবে-হায়াত’ ঢেলে দেয়া হবে ফলে তারা স্রোতে বাহিত ফেনার উপর গজিয়ে উঠা উদ্ভিদের মতো সঞ্জীবিত হয়ে উঠবে। (বুখারি, হাদিস : ৮০৬)

আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া: আবায়া ইবনে রিফাআ (রহ.) বলেন, একদিন জুমার নামাজে যাওয়ার পথে আমাকে আবু আবস (রা.) বলেছেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যার দুই পা আল্লাহর রাস্তায় চলতে গিয়ে ধূলি ধূসরিত হয়, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নামের আগুনে হারাম করে দেন। (বুখারি, হাদিস : ৯০৭)

অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, আল্লাহর রাস্তায় (লড়াইয়ের) ধূলি ও জাহান্নামের ধোঁয়া কোনো বান্দার মধ্যে কখনো একত্রিত হতে পারে না। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ২৮১)

নম্র ও সহজ-সরল ব্যবহার: মানুষের সঙ্গে আচরণে নম্র ও সহজ-সরল হওয়াও মুমিনের বৈশিষ্ট্য। যারা মানুষের সঙ্গে সদাচারণ করে, মহান আল্লাহ তাদেরও জাহান্নাম থেকে নাজাত দিবেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না, কোন ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম হারাম এবং জাহান্নামের জন্য কোন ব্যক্তি হারাম? যে ব্যক্তি মানুষের কাছাকাছি (জনপ্রিয়), সহজ-সরল, নম্রভাষী ও সদাচারী। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৮)

আল্লাহভীতিতে অশ্রু বিসর্জন: আল্লাহর ভয়ে বিসর্জন করা অশ্রু মানুষের জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে মুমিন বান্দার চোখ থেকে আল্লাহর ভয়ে পানি বের হয়, যদিও তা মাছির মাথার পরিমাণ হয় এবং তা কপাল বেয়ে পড়ে, তাতে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৯৭)

আল্লাহর রাস্তায় জেগে থাকা: আবু রায়হানা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় বিনিদ্র থাকে, তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়েছে। (নাসায়ি, হাদিস : ৩১১৭)

দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’-র ঘোষণা: রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা সে ব্যক্তিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ উচ্চারণ করে। (বুখারি, হাদিস : ১১৮৬)

হাদিসবিদদের মতে, এখানে রাত জেগে মুজাহিদের লড়াই, মুসলিম ভূখন্ডের সীমান্ত পাহারা, হজ, ইলম অর্জন ইত্যাদি সব অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

 

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ